খুলনা, বাংলাদেশ | ১৮ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১ মে, ২০২৪

Breaking News

  ৫২ বছরে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড যশোরে
  আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছুটি থাকছে স্কুল-মাদ্রাসা
  হিট স্ট্রোকে এক সপ্তাহে ১০ জনের মৃত্যু : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

উপজেলা নির্বাচন : প্রথম ধাপে ১৮৯১ মনোনয়ন দাখিল

গেজেট ডেস্ক

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এই ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষে এমন তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী। এবার সম্পূর্ণ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ছিল।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এ ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে যশোরের মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার এ দুটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩৪ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ১৮ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তারা হলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য নাজমা খানম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিকাইল হোসেন এবং জামায়াতে ইসলামীর সাবেক উপজেলা আমির প্রভাষক ফজলুল হক।

এ উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৬ জন। তারা হলেন, উপজেলা যুবলীগ নেতা মঞ্জুর আক্তার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সন্দীপ ঘোষ, খেদাপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল হক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন ও উপজেলা জামায়াতের আমির লিয়াকত আলী।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ৭ জন হলেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী আমেনা বেগম, পৌর যুব মহিলা লীগ সভাপতি সুরাইয়া আক্তার ডেইজি, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদা খাতুন, মাহবুবা ফেরদৌস পাপিয়া, জেসমিন আক্তার ও জামায়াত সমর্থিত মোছা. গুলবদন।

সোমবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কল্লোল বিশ^াসের কাছে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কল্লোল বিশ^াস।

এদিকে, কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদে ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে আটজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দু’জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার রবিউল ইসলাম।

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেন, ওবায়দুর রহমান, নাসিমা আকতার সাদেক, আব্দুস সামাদ, ইমদাদুল হক, এস এম মাহবুবুর রহমান, কাজী মুজাহীদুল ইসলাম, মফিজুর রহমান ও আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুমন সাহা, পলাশ কুমার মল্লিক, মনিরুল ইসলাম, ওজিহুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আব্দুল লতিফ রানা এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাবেয়া খাতুন ও মনিরা খানম মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ১৫ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে, আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল ও ভোট গ্রহণ অনষ্ঠিত হবে ৮ মে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা জানান, সাতক্ষীরার সুন্দরবন ঘেষা শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আর কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ৪ জন। শ্যামনগরে বিএনপির দলীয় প্রার্থী থাকলেও কালিগঞ্জে নির্বাচন করছেননা কোন বিএনপি নেতা। তবে দুটোতেই জামায়াতের প্রার্থী রয়েছেন। আর শ্যামনগরের মতো কালিগঞ্জেও আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।

সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন, শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাসুদুল আলম দোহা,উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ আব্দুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাঈদ-উজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ও শ্যামনগর পূজা উপযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ মন্ডল।

কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপি অংশ নিচ্ছেনা উপজেলা নির্বাচনে। তবে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট মাসুদুল আলম দোহা। তিনি বলেন, উপজেলার যেসমস্ত নির্যাতিত মানুষ রয়েছে,তাদের ব্যাপক সাড়া আমি পাচ্ছি। দলের উচিৎ,স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে এলাউ করা।

শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতের ঘাটি। ২০১৪ সালে প্রথমধাপের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন জামায়াতের প্রার্থী মাওঃ আব্দুল বারী। সেই জনসমর্থনকে পুজি করে এবার প্রার্থী দেওয়া হয়েছে জামায়াতের পক্ষ থেকে। তবে সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, আমি এখনো প্রচারে কোন বাঁধা পাইনি। ভবিষ্যৎই বলে দেবে কি হবে। আমরা প্রত্যাশা করি,ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু হবে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে আরও জানা যায়,কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৪ জন প্রার্থী । তারা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাঈদ মেহেদী, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মেহেদী হাসান সুমন,শেখ রকিবুজ্জামান ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আব্দুল আজিজ।

কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিনজনপ্রার্থী থাকলেও মানুষ লীগ করেন বলে নিজের জয়ের বিষয়ে তেমন কোন সন্দেহ দেখেননা বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাঈদ মেহেদী।
তিনি বলেন, যতগুলো সড়ক, সবগুলোর কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। কর্মদক্ষতা মূল্যায়নে আমরা ছিলাম ৪শ’ ৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪শ’ ৮৬তম। পরে বারবার প্রথম হওয়ার কারণে এই উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলায় রুপান্তর করার পাইলটিং প্রকল্প চলছে। আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকলেও আমি মানুষ লীগ করি বলে কোন সমস্যা হবেনা।
২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদের ভোটে অংশগ্রহন করেছিল জামায়াত। ২০১৮ সালে ভোট বয়কট করে ২০২৪ সালে আবারও ভোটে প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। ভোট সুষ্ঠু হলে নিজের জয়ের বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আব্দুল আজিজের।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন করেছি। কিন্ত মানুষ জানে কি হয়েছিল। এবার যদি জনগণ ভোট দিতে পারে,তবে আমি বিজয়ী হব। তবে জনমনে সন্দেহ আছে,ভোট সুষ্ঠু হবে কিনা,এবিষয়টি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবার ভাবা দরকার।

মেহেদী হাসান জাহিদ, কেশবপুর থেকে জানান, কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩টি পদে ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এ ব্যাপারে সহকারী উপজেলা রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩টি পদে ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেন- আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু, ওবায়দুর রহমান উবায়, নাসিমা আকতার সাদেক, কাজী মুজাহীদুল ইসলাম পান্না, আব্দুস সামাদ, ইমদাদুল হক রিপন, মাহবুবুর রহমান উজ্জ্বল ও মফিজুর রহমান। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে- আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল লতিফ রানা, সুমন সাহা, পলাশ কুমার মল্লিক, মনিরুল ইসলাম ও ওজিয়ার রহমান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে- রাবেয়া ইকবাল ও মনিরা খানম মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

জীবননগর প্রতিনিধি জানান, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সমর্থক বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ও এস কে লিটন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে জামায়াতে ইসলামীর চেয়ারম্যান পদে সাখাওয়াত হোসেন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাফিজুর রহমান আলোচনায় থাকলেও দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দেননি। এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈসা ও কাজী সামসুর রহমান চঞ্চল। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জীবননগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়েশা সুলতানা লাকী ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেত্রী রেনুকা আক্তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মেজর আহমেদ বলেন, সোমবার (১৫ এপ্রিল) জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দু’জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দু’জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দু’জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আমরা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্বাচনে প্রশাসন কঠোর ভূমিকা পালন করবে।

মেহেদী হাসান,রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা জানান, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনলাইনে আবেদনের শেষ দিনে (১৫ এপ্রিল) তিনটি পদের বিপরীতে ১২ জন সদস্য মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করেছেন বলে রামপাল উপজেলা নির্বাচন অফিস নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে ২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মো. আবু সাইদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল মান্নান, সাবেক সদর ইউপি চেয়ারম্যান জামিল হাসান জামু ও ইকবাল হোসাইন (জামায়াত)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন

বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ নূরুল হক লিপন, মো. আবুল কালাম আজাদ, মোল্যা মাসুদ বিল্লাল কাবিল, মেহেদী হাসান মিন্টু (বিএনপি) ও মো. আসাদুজ্জামান (জামায়াত)। এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান‌ পদে প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা মিলি ও সহকারী অধ্যাপক সায়েরা বেগম।
রামপাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আ. সাত্তার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এ ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন। চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!