খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৮ মে, ২০২৪

Breaking News

  তেঁতুলিয়ার খয়খাটপাড়া সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
  প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত
আবহাওয়া জনিত কারণে

মারা যাচ্ছে ঘেরের কার্পজাতীয় মাছ, দুশ্চিন্তায় চাষীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

বাগেরহাটের কচুয়ায় আবহাওয়া জনিত কারণে মারা যাচ্ছে মনকে মন রুই, কাতলা, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন ধরণের কার্প জাতীয় মাছ। হঠাৎ করে মৎস্য ঘেরের মাছ পানির উপরে ভেসে উঠতে শুরু করে। এক পর্যায়ে কার্প জাতীয় মাছগুলো মাছ গুলো মারা যেতে থাকে। গেল দুই দিনে কচুয়া উপজেলার চরকাঠি গ্রামের আব্দুল জব্বার শেখের ৭০ মনের বেশি মাছ মারা গেছে। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন মাছ তিনি। মরে যাওয়া মাছগুলো ঘেরের পাড়েই মাটি চাপা দেওয়া হচ্ছে। মাছের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আশপাশের চাষীরাও।

রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে আব্দুল জব্বার শেখের ঘেরে গিয়ে দেখা যায়, পানির উপরে বিপুল পরিমান সাদা মাছ ভেসে রয়েছে। শ্রমিকরা মাছ উঠিয়ে ঘেরের পাড়ে মাটি চাপা দিচ্ছেন। গেল দুই দিনে মাছের মৃত্যু ঠেকাতে নতুন পনি সরবরাহের পাশাপাশি বিভিন্ন ঔষধ (এ্যাকোয়া প্রডাক্ট) ব্যবহার করলেও কোন উপকার হয়নি বলে জানান ঘের চাষীর ছেলে আব্দুর রহিম শেখ।

তিনি বলেন, গেল বৃহস্পতিবার থেকে মাছ ভেসে উঠছে। ভাবছি হয়ত খাবারের জন্য। পরে শুক্রবার সকাল থেকে দেখি প্রচুর পরিমান মাছ মরে ভেসে উঠেছে। বিভিন্ন খাবারের দোকানীর সাথে কথা বলে এনার্জি সী, অক্সিজেন, গ্যাসোনীল, প্রবায়োটিকসহ বিভিন্ন ধরনের এ্যাকোয়া পন্য ব্যবহার করেছি। তারপরও কোন কাজ হয়নি। এখনও মারা যাচ্ছে। গেল দুই দিনের ৭০ মনের উপরে মৃত মাছ উঠিয়ে ফেলেছি।

ঘেরের কর্মচারী আব্দুস ছত্তার শেখ বলেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে জব্বার হুজুরের ঘেরে কাজ করি। কখনও এভাবে মাছ মরতে দেখিনি। দুই দিন ধরে শুধু মরা মাছ উঠাচ্ছি, আর ঘেরের পাড়ে মাটি চাপা দিচ্ছি।

শুধু জব্বার হুজুরের না, এলাকার আরও অনেকে মাছ মারা যাচ্ছে। হঠাৎ করে মাছ মারা যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা।

স্থানীয় মিজানুর রহমান বলেন, মূলত আবহাওয়া জনিত সমস্যা ও খালে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় ঘেরের সাদা মাছ মারা যাচ্ছে। এভাবে মাছ মরতে থাকলে চাষীরা বিপদে পরে যাবেন বলে জানান তিনি।

মাছ চাষী আব্দুল জব্বার শেখ বলেন, দিনে প্রচুর গরম, রাতে ঠান্ডা হওয়ায় একটা খারাপ আবহাওয়া যাচ্ছে। এর সাথে স্থানীয় খালগুলোতে পানি না থাকায় ঠিকঠাকমত পানিও দেওয়া যাচ্ছে না। এই কারণেই মাছ মারা গেছে।

তিনি আরও বলেন, এটাই আমাদের বড় প্রজেক্ট। এখান থেকে বছরে ৬০-৬৫ লক্ষ টাকার মাছ বিক্রি করি। কিন্তু এবার খুব ক্ষতি হয়ে গেল। ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

কচুয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা প্রনব কুমার বিশ্বাস বলেন, আবহাওয়া জনিত অর্থ্যাৎ ঠান্ডা-গরম এবং ঘেরের মাটি ও পানি দূষিত হওয়ার কারণে মাছ মারা যাচ্ছে। এই অবস্থায় চাষীদের পানি পরিবর্তন ও মাটির গুনাগুন বৃদ্ধির জন্য চুন প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!