খুলনার খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী এলাকার ত্রিপল মার্ডারে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন আসামি কবির শেখ ওরফে হুমায়ুন। সে এ মামলার পাঁচ নম্বর আসামি। বুধবার (৯ জুন) খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩ এর বিচারক তরিকুল ইসলামের আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
এর আগে যশোর জেলার শর্শা থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জবানবন্দি শেষে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক আশরাফুল আলম জানান, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামি। তার নির্দেশে এ ত্রিপল মার্ডার সংঘটিত হয়। সে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের প্রথম দিনে পুলিশের কাছে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে চাইলে আজ তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। মামলায় এপর্যন্ত ১৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। ১১ জন বিভিন্ন আদালতে ১৬৪ ধারায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছে।
২০২০ সালের ১৬ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী সিএন্ডবি’র ঘরের একটি কক্ষে তিন রাউন্ড বন্দুকের গুলি ও দুই রাউন্ড পিস্তলের গুলি রেখে মোঃ মুজিবর শেখকে পুলিশে ধরিয়ে দেয় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি মোঃ জাকারিয়া। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে গেলে জাকারিয়া ও তার পরিবারের লোকজন তাদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরে আসামি জাকারিয়ার ঘর থেকে মিল্টন শেখ বন্দুক দিয়ে অবিরাম গুলি ছুড়তে থাকে। এতে তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তিন জনই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এলাকাবাসীর ওপর হামলায় আসামি কবির শেখ অংশ নেয় বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান।
ঘটনার দুই দিন পর মোঃ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখ সহ আরও অজ্ঞাতনামাদের নামে মামলা দায়ের করেন, যার নং ১২।
খুলনা গেজেট/ এস আই