খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ মে, ২০২৪

Breaking News

  ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
দিঘলিয়া প্রান্তে ভূমি হস্তান্তরের পর

ভৈরব সেতুর শহরাংশে রেলওয়ে ও ব্যক্তি মালিকানার ভূমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু

একরামুল হোসেন লিপু

ভৈরব সেতুর দিঘলিয়া প্রান্তের জমি হস্তান্তরের পর সেতুর শহরাংশের ভূমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। সেতুর শহরাংশ মহাসিন মোড় হতে রেলিগেট পর্যন্ত ভৈরব সেতুর জন্য প্রয়োজন ৪ নং মহেশ্বরপাশা মৌজার ৭ দশমিক ১১৩৬ একর /২ দশমিক ৮৮ হেক্টর জমি। যা বাংলাদেশ রেলওয়ের রেকর্ডীয় মালিকানাধীন ভূমি । প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে উক্ত ভূমি জেলা প্রশাসকের নিকট হস্তান্তরের জন্য আগামী রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে রেলওয়ের সচিব বরাবর পত্র প্রেরণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায গেছে।

সূত্র আরও জানায়, এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) শাহনাজ পারভীন এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মোঃ মোতালেব হোসেন মহাসিন মোড় হতে রেলিগেট পর্যন্ত সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এখানে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মালিকদের আগামী সপ্তাহে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ (সাধারণ) শাখা থেকে ধারা ৪ এর (১) উপ-ধারা মোতাবেক স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন ২০১৭ (২৯১৭ সনের ২১নং আইন) মোতাবেক নোটিশ প্রদান করা হবে।

সওজ সূত্রে জানা যায়, মহাসিন মোড় হতে রেলিগেট পর্যন্ত অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে সেতুর পিলার, এপ্রোচ সড়ক এবং ইন্টারসেকশন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের রেকর্ডীয় মালিকানাধীন উক্ত ৭ দশমিক ১১৩৬ একর / ২ দশমিক ৮৮ হেক্টর ভূমি প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে গত বছরের ১৯ আগস্ট খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা নিকট প্রস্তাবিত ভূমির দাগ উল্লেখসহ একটি প্রস্তাবনা প্রেরণ করেন। উক্ত চিঠিতে তিনি সওজ কর্তৃক অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবিত ভূমির দাগ গুলো নতুন করে ইজারা /নবায়ন না দেওয়াসহ ইতিপূর্বের সকল ইজারা বাতিল করে ব্যক্তি মালিকানাধীন পাকা/সেমিপাকা স্থাপনা অপসারণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন।

সওজ সূত্রে জানা যায়, ভৈরব সেতুর পিলার বসবে মোট ৩০ টি। এরমধ্যে শহরাংশ অর্থাৎ নগরীর মহসিন মোড় হতে রেলিগেট ফেরিঘাট পর্যন্ত ১ থেকে ১৪ নং পিলার বসবে। এই অংশের প্রথম পিলারটি বসবে নগরীর কুলিবাগান আকাঙ্খা পাট গোডাউনের কর্ণারে। ৫ এবং ৬ নং পিলারের মাঝখান দিয়ে রেললাইন ক্রস করবে। এরপর ৭ এবং ৮ নং পিলার বসবে। ৯ থেকে ১৩ নং এই ৫ টি পিলার বসবে নগরীর রেলিগেট ঢাকা ট্রেডিং হাউজ লিঃ এর অভ্যন্তরে। এর ফলে রপ্তানিকারক এ প্রতিষ্ঠানটি ভাঙ্গা পড়বে। ১৭ থেকে ২৮ নং পিলার বসবে সেতুর দিঘলিয়া প্রান্তে অর্থাৎ উপজেলার বানিয়াঘাট ফেরী সংলগ্ন মধ্যবর্তী স্থান থেকে উপজেলা সদরের কুকুরমারা পর্যন্ত।

পশ্চিম পাশে নদীর পাড় থেকে ৪২ মিটার ভেতরে ১৫ নং পিলার এবং পূর্ব পাশে নদীর পাড় থেকে ১৮ মিটার ভেতরে ১৬ নং পিলার বসবে। এছাড়া সেতুর উভয় দিকে সেখান থেকে সেতুর ঢাল শুরু হবে সেখানে A-1 এবং A-2 দুটি এবাটমেন্ট বসবে। নদীর ভেতর কোন পিলার বসবে না। ১৫ এবং ১৬ নং পিলারের উপর ১০০ মিটার স্টিলের সিটে বসবে নদীর উপর মূল সেতুটি। নেভিগেশনের জন্য যাতে সেতুর নীচ দিয়ে অনায়াসে কার্গো এবং জাহাজ চলাচল করতে পারে সেজন্য মূল ব্রিজের স্নাব বটম জোয়ারের পানি থেকে ৬০ ফুট উঁচু হবে।

১৭ ডিসেম্বর ‘ভৈরব সেতু’ নামে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। ভৈরব সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৩১৬ কিলোমিটার। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬১৭ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা।

খুলনা গে‌জেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!