খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৬ মে, ২০২৪

Breaking News

ভাষা দিবসকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে ব‌্যাপক প্রস্তু‌তি

মোহাম্মদ সাদউদ্দিন, কলকাতা

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আবার বাংলাদেশ এটাকে শহীদ দিবস হিসাবে পালন করে। ভাষাগত বা রক্তগত টানের জন্য একুশের সহভাগী ও সহমর্মি কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গও। ১৯৫২ সালের তৎকালীন পূর্ববঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা করার দাবিতে ঢাকার ছাত্র সমাজ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে। মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ।

২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি যে কয়েকজন শহীদ হয়েছিলেন তাদের অন্যতম আবুল বরকত ও শফিউর রহমান শফিক দু’জনেই জন্মসূত্রে পশ্চিমবঙ্গের ভূমিপুত্র। বরকতের বাড়ি ছিল মুর্শিদাবাদের সালার থানার বাবলা গ্রাম। যদিও বাবলা ছিল তার মামার বাড়ি। তাদের আদি পিতৃনিবাস ছিল ওই সালার থানারই গুলহাটিয়া গ্রাম।

তাই একুশকে সামনে রেখে বাবলাগ্রামের ‘বরকত মেলা’ নানানভাবে সেজে উঠেছে। এই বাবলা গ্রামের বরকত স্মৃতি সঙ্ঘ অনেকদিন ধরেই দিনটি পালন করে। পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকারের আমলে গড়ে উঠেছিল বরকত গবেষণা কেন্দ্র । ওই সময় সালারে গড়ে ওঠে বরকত উদ্যান। সালার স্টেশনের নাম বরকতের নামে করার দাবিতে এলাকা সরব। ওই সালারেই বরকতের স্কুল জীবন কেটেছিল তালিবপুর হাইস্কুলে। সেখানেও বরকতকে সহ ভাষা শহীদদের স্মরণে সেমিনার ও নানান সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হয়। সালারের রাহিলা সংস্কৃতি সংঘে এবারও দিনটি পালন করা হবে। এখানে “শহীদ বরকত স্মৃতি” পুরস্কার চালু করা হয় ১৯৯৩ সাল থেকেই।

অন্যদিকে ভাষা আন্দোলনের আরেক শহীদ শফিউর রহমান শফিক ছিলেন হুগলি জেলার কোন্নগরের সন্তান। এখানে শফিউরের নামে শহীদবেদি তৈরি করে প্রতিবছর ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়। এবছরও তার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। সর্বোপরি কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র ভাষা দিবসকে পালনের জন্য সেজে উঠেছে। কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন একুশের সকালেই প্রথম প্রভাতফেরি করবে বিশাল আকারে।

এছাড়া বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের ভিতর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ সেজে উঠেছে। ২০ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ইমানুল হকের ভাষা ও চেতনা সমিতি কলকাতার ধর্মতলা থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত বিশাল প্রভাত ফেরি করবে ।সারারাত ও পরের দিন একুশ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কথা-গান ও আলোচনায় একুশকে শ্রদ্ধা জানাবে। কলকাতার ধর্মতলার ভাষা উদ্যান এখন সাজো সাজো রব নানান আলোক সজ্জায়। কলকাতার যাদবপুর এলাকার মুক্ত বাংলা ও যাদবপুর লোকসংস্কৃতি ও গবেষণা পরিষদ একুশের সকালে বিশাল প্রভাতফেরি করবে। মোট কথা একুশের জন্য কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গ যেন সেজে উঠেছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!