খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
  মানিকগঞ্জের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়িচাপায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত
  গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

বার্ড ফ্লু : খুলনাঞ্চলের পোল্টি খামারে আগাম সতর্কতা

কাজী মোতাহার রহমান

বারো বছর আগের বার্ড ফ্লু’র ন্যায় ক্ষতি এড়াতে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর খুলনাঞ্চলের পোল্টি খামারে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বার্ড ফ্লু’র প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে এ রোগের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে এবং ক্ষতি এড়াতে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর এ নির্দেশনা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় খুলনা বিভাগীয় প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে দশ জেলার কর্মকর্তাদের মাসিক সমন্বয় সভা আহবান করা হয়েছে।

সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাদহসহ অন্যান্য জেলায় প্রতিদিন বার্ড ফ্লু রোগের অনুসন্ধানমূলক এবং সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক নজরদারীর ব্যবস্থা এবং সরকারি-বেসরকারি পোল্টি খামারে নিবিড় তত্ত্বাবধানের জন্য প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর চিঠি দিয়েছে। একই সাথে কোন মৃত বা সন্দেহজনক হাঁস-মুরগী, পাখি পাওয়া গেলে নমুনা পরিক্ষার জন্য নিকটবর্তী ল্যাবে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। ভেটেরীনারী হাসপাতাল ও গবেষণাগারে নমুনা পরিক্ষার কীট ও পিপিই জরুরি ভিত্তিতে সরবরাহ, খামারে জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বার্ড ফ্লু’র প্রতিরোধকল্পে দ্রুততার সাথে টিকা সংগ্রহ ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর, খুলনার পরিচালক ডাঃ মোঃ আমিরুল ইসলাম মোল্লা খুলনা গেজেটকে  জানান, ১২ জানুয়ারি মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে এ ব্যাপারে চিঠি পাওয়া গেছে। বুধবার সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বার্ড ফ্লু’র প্রতিরোধে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আগাম সতর্কবার্তা খামারিদের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় বিভাগীয় কার্যালয়ে মাসিক সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়েছে।

সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ শাহাবুদ্দিন জানান, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পোল্টি খামারে এ লক্ষণ দেখা গেলে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। লক্ষণ ভিত্তিক সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গেলে টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে।

এই সূত্র আরও জানায়, ২০০৭ ও ২০০৮ সালে বার্ড ফ্লু’তে সারাদেশে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে আর্থিক সংকটে পড়ে খামারিরা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা খুলনা বিভাগের দশ জেলায় খামারিদের সংখ্যা জানাতে পারেনি।

 

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!