খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ মে, ২০২৪

Breaking News

  মিল্টন সমাদ্দারের প্রতারণায় সহযোগী ছিলেন তার স্ত্রী : ডিবি প্রধান
  জনগণের ভরসাস্থল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন সেনাবাহিনী : প্রধানমন্ত্রী
পা‌নি উন্নয়ন বো‌র্ডের গা‌ফিল‌তি‌তে বিপদ

ফের স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙা বাঁ‌ধ সংস্কার

ত‌রিকুল ইসলাম

ভাঙে বাঁধ, সংস্কার করে জনগন। প্রতি বছর এভাবেই চলছে বাঁধ সংস্কার। এক মাস যেতে না যেতেই ফের কয়রার কপোতাক্ষ নদের রিং বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তৃর্ণ এলাকা। শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা গ্রামের কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ জোয়ারের পানিতে ভেঙে যায়।

একই স্থানে গত ১৭ জুলাই ভোর রাতের ভাটার টানে ভেঙে যায়। পরেরদিন দুই হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে সক্ষম হন। কিন্তু প্রায় এক মাস অ‌তিবা‌হিত হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই স্থানে তেমন কোন কাজ না করায় পুনরায় জোয়ারের পানির চাপে রিংবাঁধ ভেঙে গেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এলাকাবাসীর দুই ঘন্টা স্বেচ্ছাশ্রমে ফের পানি আটকাতে সক্ষম হলেও যে কোন মূহুর্তে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার চরম শঙ্কা রয়েছে।

দক্ষিণ বেদকাশী এলাকার স্বাধীন সমাজকল্যাণ যুব সংস্থার সভাপতি মো. আবু সাঈদ খান বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গাফিলতির কারণে এ রিংবাঁধ আবারও ভেঙেছে। তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ বেদকাশীর চরামুখা এলাকায় ওয়াপদার ৫০ মিটার রিংবাঁধ শনিবার (দুপুরের জোয়ারে ভেঙে যায়। এতে ৪ গ্রামের মানুষ প্লাবিত হয়েছে। বাঁধ না ভাঙলে পাউবোর ঘুম ভাঙে না। দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন মানুষকে লোনাপানির হাত থেকে মুক্ত করার জন্য পাউবোসহ সংশ্লিষ্ট সবার দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য ওসমান গনি বলেন, শনিবার দুপুরের দিকে জোয়ারের সময় আবারও বেড়িবাঁধ ভেঙে ওই এলাকায় লবণ পানি ঢুকেছে। তিনি জানান, গত ১৭ জুলাই ওয়াপদায় যে বেড়িবাঁধ ভেঙে ছিল তার পাশ থেকেই এবার ভেঙেছে।

দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল বলেন,গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ফলে রিংবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলে জোয়ারের চাপে রিংবাঁধটি ভেঙে যায়।এলাকাবাসী পানি উন্নয়ন বোর্ডের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের রক্ষার্থে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুই ঘন্টার স্বেচ্ছাশ্রমে পানি আটকাতে সক্ষম হয়েছে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, রিংবাঁধ পুনরায় মাটি দিয়ে নির্মাণের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বলা হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে রিংবাঁধটি দুর্বল হয়ে পড়ে।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!