খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৮ মে, ২০২৪

Breaking News

  জিম্বাবুয়েকে ৯ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ
  হজ ভিসা ইস্যুর মেয়াদ ১১ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের : হাব
  টাঙ্গাইলের কা‌লিহাতী‌তে কাভার্ডভ্যান-ট্রা‌ক সংঘ‌র্ষে চালক নিহত

ফসলি জমি‌তে বসতবাড়ি নির্মাণে হারিয়ে যাচ্ছে আবাদি জমি, কম‌ছে খাদ্য উৎপাদন

কেশবপুর প্রতিনিধি

কেশবপুরে যেখানে সেখানে সরকারি কোনো অনুমোদন ছাড়ায় ফসলি জমি দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে আবাদি জমির পরিমাণ, যার ফলে উপজেলায় খাদ্য ঘাটতির আশংকা বেড়ে যাচ্ছে।

কেশবপুর পৌরসভার বাইরে বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, এলাকায় রাস্তার পাশে বা কোন তেমাথা বা চার রাস্তার মোড়ে ফসরি জমি দখল করে বসতি ঘরবাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। এ মুহূর্তে যার পরিমাণ প্রায় শতাধিক। আর এই সব দখল করা জমি গুলো প্রায় সব তিন ফসলের জমি। মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ও রুচির পরিবর্তন হওয়ায় ভবিষ্যতের চিন্তা না করে তারা এইসব তিন ফসলি জমি দখল করে বসতবাড়ি তৈরি করছে। যার কারণে দিন দিন ফসলি জমির পরিমাণ কুমে যাচ্ছে।

কেশবপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে কেশবপুর উপজেলায় মোট জমির পরিমাণ ২৫ হাজার ৮শ ৫৬ হেক্টর। এরমধ্যে আবাদি জমি ২০ হাজার ৫৪৩ হেক্টর। বর্তমান আবাদী জমির পরিমাণ ২০ হাজার ৩৩৮ হেক্টর। এর মধ্যে স্থায়ী পতিত জমি ২০৫ হেক্টর। জলাশয় ৬৩৭ হেক্টর, ফলবাগান ১ হাজার ৩৮৩ হেক্টর, বর্তমান বাড়ি ঘর রয়েছে ২ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে, তাছাড়া রাস্তা ও বিভিন্ন অবকাঠামো রয়েছে ৭১৫ জমিতে।

সূত্র আরো জানায়, কেশবপুর উপজেলায় সরকারি হিসাবে ২ লাখ ৫৩ হাজার ২৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৫৬ ও মহিলা ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৩৫। তবে জনসংখ্যা তো বেড়েই চলেছে বর্তমান (জরিপ করলে) বেসরকারি হিসাবে কেশবপুরে জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ।

এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সম্প্রতি বদলি হওয়া কর্মকর্তা মহাদেব সানা বলেন, জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের মধ্যে ফসলি জমি দখল করে বসতবাড়ি তৈরির প্রবণতা বেড়ে চলেছে। যার কারণে আবাদি জমি হারিয়ে যাচ্ছে। এই ভাবে চলতে থাকলে দিন দিন ফসলি জমি হারিয়ে যাবে। যার কারণে ভবিষ্যতে খাদ্য ঘাটতির আশংকা বেড়ে যাচ্ছে।

কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনিসুর রহমান জানান, বাড়ি ঘর তৈরি করতে সরকারের অনুমোদন লাগে তা মানুষ জানেনা তাছাড়া কেউ অনুমোদনের জন্য পরিষদে আসে না।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, পল্লী এলাকায় মানুষের ফসলি জমি দখল করে বসতবাড়ি তৈরি করতে হলে সরকারি আইন রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু কোনো মানুষ এই কাজটি করে না। তবে এ ব্যাপারে মানুষের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!