খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৭ মে, ২০২৪

Breaking News

  জিম্বাবুয়েকে ৯ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ
  হজ ভিসা ইস্যুর মেয়াদ ১১ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের : হাব
  টাঙ্গাইলের কা‌লিহাতী‌তে কাভার্ডভ্যান-ট্রা‌ক সংঘ‌র্ষে চালক নিহত

পানি সমস্যায় তরমুজ চাষে বিপর্যয়

নিতিশ সানা, কয়রা

বছর কয়েক শুরু হয়েছে খুলনার কয়রায় তরমুজ চাষ, এর আগে এক ফসলি জমি ধান চাষ করে পতিত অবস্থায় থাকতো। প্রথমে দু’এক জন কৃষক তরমুজ চাষ করে ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায়, এবার উপজেলার আমাদি ও বাগালি ইউনিয়নে ৫ গুণ বেড়েছে তরমুজ চাষ। কৃষক স্বপ্ন দেখছেন লাভবান হবেন, তবে দূর্যোগ প্রবণ এ উপকূলে গত কয়েক মাস অনাবৃষ্টি ও স্থানীয় পানির উৎস খাল গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় খরতার প্রভাব পড়ছে তরমুজের উপর। অনাবৃষ্টির আকাশ থেকে ঝরছে খরতার তাপ। কৃষকের স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাড়িয়েছে। পানির অভাবে গাছ গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় ফল নষ্ট হচ্ছে। দূরের পুকুর থেকে কলসে করে কিংবা  শ্যালো থেকে পানি কিনে পাইপের মাধ্যমে টেনে এনে কোন রকমে বাঁচিয়ে রেখেছে গাছ গুলো, তবুও অনেকের জুটছে না পানি।

পানির সমস্যা নিরসনের জন্য খাল গুলো খনন করে কৃষকের কাছে যাতে ইজারা দেওয়া হয় সেজন্য জেলা সমন্বয় কমিটিতে আলোচনা করা হবে এমনটি বলেছেন কৃষি কর্মকর্তা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করে কৃষক দাম ও ফলন ভালো পাওয়ায় এ বছর কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়ে ৬৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন।

আমাদি ইউনিয়নের হরিকাটি গ্রামের শিপালী সরদার বলেন, গত বছর এলাকায় তরমুজের ফলন ভালো দেখে অন্যের কাছ থেকে বিঘা প্রতি ২ হাজার টাকা করে ২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে এবার প্রথম তরমুজ চাষ করেছেন। তবে পানির চরম সমস্যায় ভালো ফলন পাওয়া নিয়ে চিন্তিত রয়েছে। তিনি বলেন, খালে পানি না থাকায় ডিপ থেকে পানি কিনে আনতে অতিরিক্ত খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

একই গ্রামের চন্দ্র শেখর মন্ডল এবার প্রথম ৯ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছে তার এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে পানির সমস্যার কারণে আসল টাকা উঠবে কিনা সংশয়ে রয়েছেন।

এলাকার গুরুত্বপূর্ণ অর্থকারী ফসল চাষাবাদে কৃষি অফিসের উল্লেখযোগ্য কোন ভূমিকা দেখা মেলেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

জমির ভিতরে থাকা খাল গুলো খননের মাধ্যমে ও স্যালো বসানোর মাধ্যমে পানির সমস্যা সমাধান করতে পারলে তরমুজ চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকারী ফসল হবে বলে সচেতন মহল জানান।

কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম জাহাঙ্গীর আলম খুলনা গেজেটকে বলেন, পানির সমস্যা নিরসনের জন্য খাল গুলো খনন করে কৃষকের কাছে যাতে ইজারা দেওয়া হয় সেজন্য জেলা সমন্বয় কমিটিতে আলোচনা করা হবে। পানি সমস্যার কারণে গাছ গুলোতে একটা ভাইয়াস দেখা দিয়েছে তার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তবে বৃষ্টি না হলে রোগ পুরোপুরি নিরাময় হবে না।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!