খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৮ মে, ২০২৪

Breaking News

  প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত

পাটকেলঘাটায় গৃহবধূ তামান্না হত্যা মামলায় ৪ আসামির জামিন না‌‍‍’মঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার বড় কাশিপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ তামান্না হত্যা মামলার চার আসামীর জামিন আবেদন না’মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আযম বৃহষ্পতিবার(২১ জুলাই) জামিন আবেদন শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।

জামিন না’মঞ্জুর হওয়া আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার বড় কাশীপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে ফিরোজ হোসেন, একই গ্রামের রফর আলীর ছেলে শেখ আব্দুল হামিদ, সোহরাব হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন ও নজরুল ইসলামের ছেলে সালাহউদ্দিন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মালয়েশিয়া প্রবাসী কলারোয়ার তুলসীডাঙার সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে পাটকলেঘাটার বড় কাশীপুর গ্রামের আব্দুল হকের মেয়ে তামান্নার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ে হয় ২০০০ সালে। এরপর তামান্না তাকে তালাক দিয়ে পুরাতন সাতক্ষীরার আবুল হোসেন সরদারের ছেলে ফরহাদ হোসেনকে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল বিয়ে করে।

গত ৫ মে সন্ধ্যায় তাদের বাড়ির পাশে কপোতাক্ষ নদের ধারে স্বামী ফরহাদের সঙ্গে বেড়াতে যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্বের স্বামী সাদ্দাম ও বড় কাশীপুর গ্রামের আব্দুল আলালের ছেলে শেখ তুহীন হোসেনসহ জামিন না’মঞ্জুর হওয়া উক্ত আসামীরা তামান্নাকে লক্ষ্য করে দাহ্য পদার্থ ছুঁড়ে মারে। এতে তামান্নার পিঠ, মুখ ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। স্ত্রীকে বাঁচাতে যেয়ে দগ্ধ হয় স্বামী ফরহাদ। একপর্যায়ে তামান্না ও ফরহাদকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

এরপর ৬ মে তামান্নার বাবা আব্দুল হক বাদি হয়ে সদ্দাম হোসেন, তুহীন শেখ, ফিরোজ, নাজমুল, আব্দুল হামিদ ও সোহারাব হোসেনের নাম উল্লেখ করে পাটকেলঘাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই পুলিশ সাদ্দাম ও তুহিনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। এরপর ১০ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তামান্না মারা যায়।

সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু জানান, গত ২৮ জুন ফিরোজ হোসেন, শেখ আব্দুল হামিদ, নাজমুল হোসেন ও সালাহউদ্দিন মহামান্য হাইকোর্টে অগ্রিম জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করতে বলে। সে অনুযায়ি ওই চার আসামী বৃহষ্পতিবার সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক এমজি আযম আবেদন শুনানী শেষে জামিন না’মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

খুলনা গেজেট / আ হ আ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!