খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ মে, ২০২৪

Breaking News

  মিল্টন সমাদ্দারের প্রতারণায় সহযোগী ছিলেন তার স্ত্রী : ডিবি প্রধান
  জনগণের ভরসাস্থল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন সেনাবাহিনী : প্রধানমন্ত্রী

নিখোঁজের ১৪ দিন পরও রহিমা বেগমের সন্ধান মেলেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিখোঁজের ১৪ দিন পরও সন্ধান মেলেনি নগরীর দৌলতপুর থানার রেলিগেট মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগম (৫০)। নিখোঁজ মায়ের সন্ধানের দাবীতে শুক্রবার ১০ আগস্ট) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন নিখোঁজ হওয়া রহিমা বেগমের সন্তানেরা ও এলাকাবাসি।

মানববন্ধনে নিখোঁজ রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম বলেন, ‘আমরা যে কোন মূল্যে আমাদের মা’কে খুঁজে পেতে চাই। সরকারের কাছে এবং প্রশাসনের কাছে আমার একটাই অনুরোধ আমার মাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিন।”
রহিমা বেগমের একমাত্র ছেলে এম এ সাদী বলেন, ‘সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন, আমার মা’কে ফিরিয়ে দিন। আমরা আমাদের মা’কে দেখতে চাই। গত ১৪ টা দিন আমি ঘুমাতে পারছি না। তিনি খেয়ে আছেন? নাকি না খেয়ে আছেন? বেঁচে আছেন? না মারা গেছেন? আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। একটা মানুষ ১৪ টা দিন নিখোঁজ হয়ে থাকতে পারে না। গত ২৭ আগষ্ট রাত দশটা থেকে রহিমা বেগমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই রাতে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন।

মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নারীনেত্রী হাফিজা আক্তার শিরিন, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়নকারী সংস্থার সমন্বয়কারী এ্যাডভোকেট এ. মোমিনুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা রুহুল আমিন, আগুয়ান ৭১ র সভাপতি আবদুল্লাহ চৌধুরী, সোনালী দিন প্রতিবন্ধী সংস্থা পরিচালক ইশরাত হীরা প্রমুখ।

প্রসঙ্গতঃ ২৭ আগস্ট রাতে পানি নেওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হন রহিমা খাতুন। রাতে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেনি। ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা ওই রাতে সম্ভাব্য আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে তাকে না পেয়ে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরেরদিন ২৮ আগস্ট অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আদুরী খাতুন দৌলতপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৫। দৌলতপুর থানা পুলিশ ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন ৫ জনকে আটক করে রিমান্ডে এনেছে।

নিখোঁজ রহিমা বেগমের পরিবারের একটি সূত্র জানায়, ১ বছর পূর্বে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে হামলার শিকার হন রহিমা বেগম এবং তার এক কন্যা।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!