খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  জামালপুরে ধান মাড়াই করতে গিয়ে তাঁতী লীগ নেতার মৃত্যু
  দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
  মানিকগঞ্জের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়িচাপায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত
  গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

দেশীয় হ্যাচারীতে ভেনামী পোনা উৎপাদনের অপেক্ষায় চাষীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে ভেনামি চিংড়ির পরীক্ষামূলক অনুমোদনে সফলতা মিলেছে চাষিদের। এক একর জমিতে প্রথম বছরের তুলনায় এবার ৩৪৪ কেজি বেশি চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে। যদিও এবার পরীক্ষামূলকভাবে এই চিংড়ি চাষের অনুমোদন পাওয়া সকলেই উৎপাদনে যেতে পারেননি।

এ জন্য দেরিতে অনুমোদন এবং পোনা ও খাবার আমদানিজনিত সমস্যার কথা জানিয়েছেন তারা। অনেকেই পর্যবেক্ষণ করছেন এবং দেশীয় হ্যাচারিতে ভেনামি চিংড়ির পোনা উৎপাদনের অপেক্ষায় রয়েছেন। এতে স্বল্পমূল্যে পোনা মিলবে বলে আশা করছেন চাষিরা। শিগগিরই অনেকেই উৎপাদনে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

চিংড়ি চাষিরা বলছেন, দেশীয় বাগদা-গলদার হ্যাচারিতে মাদার চিংড়ি এনে পোনা উৎপাদন সম্ভব। প্রতি পিস পোনা আমদানিতে খরচ পড়ছে দুই টাকা থেকে আড়াই টাকা। তবে নিজস্ব হ্যাচারিতে মাদার চিংড়ি এনে পোনা উৎপানে খরচ হবে মাত্র ৫০-৬০ পয়সা। এছাড়াও বাণিজ্যিক অনুমতি মিললে স্বল্পমূল্যে ভোক্তা পর্যায়ে চিংড়ি বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

চিংড়ি উৎপাদনকারীদের দেওয়া তথ্য মতে, এশিয়ার ১৪টি দেশে ভেনামি চিংড়ির ব্যাপক চাষ হলেও এখনো বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষের অনুমতি মেলেনি। ভেনামি চিংড়ির উৎপাদন বাগদার চেয়ে অনেকগুণ বেশি। ২০২০ সালে চিংড়ির বিশ্ব বাজার ছিল ১৮.৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ২০২৬ সালে দাঁড়াবে প্রায় ২৩.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। যার বৃহৎ অংশ ভেনামির দখলে। বিগত দুই দশক ধরে বিশ্বের ৬২টি দেশ ভেনামি চিংড়ি উৎপাদন করছে। বিশ্বে সর্বমোট চিংড়ি উৎপাদনের ৭৭ শতাংশ ভেনামি চিংড়ি।

এশিয়ার চিংড়ি উৎপাদনকারী ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যতীত ১৪টি দেশেই বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষ করে থাকে। ভেনামির সাশ্রয়ী মূল্য এবং সহজলভ্য হওয়ায় তা বিশ্বের ৭৭ ভাগ বাজার দখল করে নিয়েছে। ভেনামির উৎপাদন বেশি এবং আকার প্রায় একই হয়। ফলে ভেনামি চিংড়ি ক্রেতা বা ভোক্তার চাহিদা মতো দেওয়া যায়, যা গলদা-বাগদার ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। ফলে ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষ বাংলাদেশে প্রয়োজন। তবে বাণিজ্যিক চাষের জন্য এখনো ভেনামি চিংড়ির অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

শুধুমাত্র পাইলট প্রকল্পের আওতায় খুলনা অঞ্চলের ১২টি ফার্মকে পরীক্ষামূলক ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি এবং ৪টি প্রতিষ্ঠানকে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে সরকার।

মৎস্য অধিদপ্তর অনুমোদিত পরীক্ষামূলক ভেনামি চিংড়ি চাষে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- যশোর ইমইউসি ফুডস লিমিটেড (বিএফআরআই, পাইকগাছা), খুলনার বটিয়াঘাটার ফাহিম সি ফুডস লিমিটেড, পাইকগাছার গ্রোটেক এ্যাকোয়া কালচার লিমিটেড, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের রেডিয়েন্ট শ্রিম্প কালচার-১, কয়রার আয়ান শ্রিম্প কালচার, ডুমুরিয়ার ইএফজি একোয়া ফার্মিং, বটিয়াঘাটার জেবিএস ফুডস প্রডাক্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও কয়রার প্রান্তি এ্যাকোয়া কালচার লিমিটেড।

এছাড়াও শর্তসাপেক্ষে অনুমতি পাবে সাতক্ষীরার দেবহাটার মেসার্স আল-হেরা মংস্য প্রকল্প, রূপসার ফ্রেশ ফুডস লিমিডেট, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের নলতা আহছানিয়া ফিশ ও রূপসার জেমিনি সি ফুডস লিমিডেট।

যশোর এমইউসি ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভেনামি চিংড়িচাষি শ্যামল দাস বলেন, যেহেতু এই পোনা দেশে হয় না। আসলে যারা চাষের অনুমতি পেয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে আমি তাদের দোষারোপ করতে চাই না। কারণ কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছিল ফেব্রুয়ারি মাসে এবং ফাইনালি এপ্রিল মাসে এসে অনুমোদন দিয়েছে বাকি ১১টি প্রতিষ্ঠানকে। এর আগেই অনেকে বাগদা পোনা ছেড়ে দিয়েছিল। আর আমার যেহেতু ২০২১ সালের অভিজ্ঞতা ছিল এবং জনবল তৈরি ছিল তাই দেরিতে অনুমোদন পেলেও আমার জন্য চাষ করা সম্ভব হয়েছে।

শ্যামল দাস বলেন, গত বছর প্রতি হেক্টর পুকুরে ৮ হাজার ৯০০ কেজি প্রতি চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে। এ বছর উৎপাদন সাড়ে ১০ হাজার থেকে ১১ হাজার কেজিতে নিয়ে যাব। পাইকগাছায় ৫টি পুকুরে আশা করছি ২৫ টন ফলন পাব। আর বটিয়াঘাটা থেকে আরও ৩০ থেকে ৩৫ টন ফলন পাবো।

বটিয়াঘাটার মাছচাষি প্রফুল্ল কুমার রায় বলেন, এমইউসি ফুডসের শ্যামল দাসের সহযোগিতায় সরকারি এরিয়ার বাহিরে প্রথম বটিয়াঘাটার ১২টি পুকুরে ভেনামি চিংড়ি চাষ হচ্ছে। সেখানে দুই দফায় ২৪ লাখ পোনা ছাড়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দফায় গত ২৭ জুন ১২ লাখ পোনা এবং দ্বিতীয় দফায় ৫ জুলাই ১২ লাখ পোনা ছাড়া হয়। প্রথম মাছটি ৩০ দিনে সাড়ে ৪ গ্রাম গড়ে ওজন পেয়েছি। পরেটাতে ওজন পৌনে ৫ গ্রাম পেয়েছি। এই সময়ে বাগদা ২ থেকে আড়াই গ্রাম পেয়েছি।

তিনি বলেন, বাগদার দাম ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি। আমি ধারণা করছি এই চিংড়ি উৎপাদন খরচ ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা পড়বে। উৎপাদন বাড়লে অন্যান্য দেশের মতো সাড়ে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হবে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ এই চিংড়ি খেতে পারবে।

প্রফুল্ল কুমার রায় বলেন, আগামীতে সরকার ভেনামি চাষের অনুমতি দিলে দেশের অর্থনীতি মজবুত হবে। আমাদের চাহিদা পূরণ হবে, বিশ্ববাজারে এটা রপ্তানি হবে।

পরীক্ষামূলক ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি পাওয়া কয়রার প্রাপ্তি এ্যাকোয়া কালচার লিমিটেডের মালিক এমএ হাসান পান্না বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষের আবেদনের পর গত এপ্রিলে অনুমতি পেয়েছি। অনুমতি পাওয়ার পর চুক্তি, পোনা আমদানিসহ নানা সমস্যার কারণে চিংড়ি চাষে কিছুটা দেরি হচ্ছে। আমি ২ হেক্টরের ৪টি পুকুরে ভেনামি চিংড়ি চাষ করব। এ জন্য থাইল্যান্ড থেকে পোনা আমদানি করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ কয়রায় ৬ লাখ পোনা ছাড়া হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এখন এই প্রকল্প চলছে।

তিনি বলেন, বাণিজ্যিক চাষের অনুমতি পাওয়ার পর মাদার চিংড়ি এনে পোনা তৈরি করতে পারলে সুবিধা হবে। এখন প্রতি পিস পোনা আমদানি করতে দুই টাকা খরচ পড়ছে। অথচ মাদার চিংড়ি এনে হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদন করলে পোনার দাম পড়বে ৫০ পয়সা। ফলে চাষিরা লাভবান হবে, কমবে চিংড়ির দামও।

পাইকগাছার গ্রোটেক এ্যাকোয়া কালচার লিমিটেডের পরিচালক মো. তারেক সরকার বলেন, অনুমোদন পাওয়ার পর ভেনামি চিংড়ি চাষের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছি। যে কারণে কিছুটা সময় লেগেছে। এছাড়া পোনা আমদানির জন্য এলসিসহ নানা কাজ থাকে যেগুলো সময়ের ব্যাপার। শ্যামল দাস আগে এ নিয়ে কাজ করেছেন, তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফলে পোনা আমদানিতে সমস্যা হয়নি। আমরাও আগামি সেপ্টেম্বর মাসে ৪ লাখ পোনা আমদানি করব। তখন চাষ শুরু করব। এ জন্য ৫ একর জমির পুকুর প্রস্তুত করা হয়েছে।

খুলনার ডুমুরিয়া ইএফজি এ্যাকোয়া ফার্মিং- এর পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন বিদ্যুৎ বলেন, অনুমোদন পাওয়ার পর কিছুটা অপেক্ষা করছি। আমদানি করা পোনার দাম বেশি। দেশের হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদন করলে দাম কম হতো। সেই অপেক্ষায় রয়েছি। প্রথম দফায় চাষ শুরু করতে পারিনি। দ্বিতীয় দফায় স্বল্প পরিসরে শুরু করার ইচ্ছে আছে। সেপ্টেম্বর মাসে অথবা আগামী বছরে শুরু করতে পারি।

সবগুলো প্রতিষ্ঠান কেন পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যেতে পারেনি এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এস এম হুমায়ুন কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুটি কারণ রয়েছে। যে দুটি প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে গেছে, তার মূলে এমইউসি ফুডসেরই মালিক। তার গত বছরের অভিজ্ঞতা ছিল। এ বছর সরকার অনুমোদন দিয়েছে এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে। ফলে ওই সময় যারা অনুমোদন পেয়েছেন তারা পোনা, খাদ্য ও কনসালটেন্ট জোগাড় করে কাজটি করতে পারেননি। এর মধ্যে পানির লবণাক্ততা কমে গেছে। যারা কাজ শুরু করতে পারেননি, তারা কিন্তু কাজ শুরুর প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। আমরা আশা করছি এ বছর অথবা আগামী বছরে উৎপাদনে যাবেন তারা।

এ্যাকোয়া কালচার এক্সপোর্ট এন্ড ভেনামি পাইলট প্রজেক্টের কনসালটেন্ট দীপন বিশ্বাস বলেন, দুই বছর পাইলট প্রজেক্টের দায়িত্বে রয়েছি, দুই বারই সাকসেস। গত বছর কোভিডের জন্য নিয়মিত আসতে পারিনি, তবুও প্রজেক্ট সফল হয়েছে। বাংলাদেশের জলবায়ু ভেনামি চিংড়ি চাষের জন্য খুবই উপযুক্ত। বাংলাদেশে ভেনামি চাষের একটা জায়গা তৈরি হবে যদি অনুমতি দেয়। সর্বসাধারণের পক্ষে চাষ করা সম্ভব হবে। গলদা রেণু থেকে মার্কেট সাইজ হতে ৭ থেকে ৮ মাস সময় লাগে। আর বাগদা চিংড়ির ৫ মাস সময় লাগে। সেই জায়গায় ভেনামি চিংড়িতে ৩ মাস লাগে। ৫ মাস বা ৭ মাসে চাষে যে খরচ আসবে, ৩ মাসে তার চেয়ে কম আসবে। ভেনামি পুকুরের সর্বস্তরে অন্য মাছের মতো ঘুরে বেড়াতে পারে। এ জন্য ভেনামির উৎপাদন বেশি। স্বল্প জায়গায় অনেক চাষ করা যায়। চাষিরা অন্য সাধারণ মাছের মতোই চাষ করতে পারবেন।

জাতীয় চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ রফিকুজ্জামান বলেন, স্বল্প জায়গায়, স্বল্প খরচে ভেনামি চাষ করা যায়। ফলে সরকারের কাছে দাবি জানাবো দ্রুত এই চাষ উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। কারণ এতো অল্প সময়ে অন্য কোনো সেক্টরে টাকা তোলা সম্ভব নয়। পুকুর কাটা থেকে চিংড়ি উৎপাদন ৫ মাসে শেষ হয়ে যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, এখানে যে পোনা ও ফিড রয়েছে সেগুলো বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। সরকারের একটি বিশেষ জায়গায় এই চিংড়ি চাষ করা হচ্ছে।  এখন যদি প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে এভাবে করলে হবে না। বিদেশি পোনা আমদানি করে চাষিদের দিলে খরচ বেশি পড়ে। এ জন্য আমাদের হ্যাচারিতে এই পোনা উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। খাবারটাও স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করতে হবে। বায়ার সিকিউরিটি মেইনটেন করতে হবে। এর খাবার, অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহারের কিছুটা প্রভাব কিন্তু থাকবে। কিছু রোগ বালাই হবে। সেগুলো যাতে অন্য মাছের ও পানির ক্ষতি না করে খেয়াল রাখতে হবে। এগুলো করতে পারলে আমরা আগামী দু-এক বছরেই ফিল্ড লেভেলে যেতে পারব।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, যারা পরীক্ষামূলক চাষের অনুমতি পেয়েছেন, তাদের বিষয় তারা জানেন। এটা চাষাবাদ করতে গেলে অনেক টেকনিক্যাল ও আর্থিক ইনভলভমেন্ট আছে। হয়তো সামর্থ্য নেই, তাই তারা পারেননি।

ইতোমধ্যে নিরিবিলি হ্যাচারি চাষে গিয়েছে, আশা করি আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের হারভেস্টের সংবাদ পাবেন। বাকি ১১ জনের মধ্যে অনেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে, তারাও শুরু করতে চান। জুন-জুলাই মাসে পানিতে তেমন লবণাক্ততা থাকে না। সেটা তাদের জন্য ভীতির একটা কারণ। আগামী বছর যদি বাণিজ্যিক চাষের অনুমোদন দেয়, তাহলে শুধু ১১ জন নয়, ১১ হাজার চাষি পাবেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে ভেনামি চিংড়ির চাহিদা ব্যাপক। এখন গলদা এবং বাগদার পাশাপাশি যদি ভেনামিকে আমরা রেগুলার এক্সপোর্ট বাস্কেট নিতে পারি তাহলে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে পপুলার চিংড়ির অর্ডারের দেশ হিসেবে পরিণত হবো।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!