খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
  মানিকগঞ্জের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়িচাপায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত
  গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

ডুমুরিয়ায় অফসিজনে কীটনাশক বিহীন লাল শাক

গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া

ডুমুরিয়ায় এবার কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই অফসিজন দেশীয় জাতের লাল শাক চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন খর্ণিয়া এলাকার আবু হানিফ মোড়ল। ফুলকপি, শিম, পটল, ওল,বরবটিসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ব্যাপক সফলতা ও পুরস্কার প্রাওয়ার পর এবার তিনি অল্প জমিতে কীটনাশক ছাড়াই একই জমিতে একাধিক বার লাল শাক উৎপাদন করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। তার দেখাদেখি এলাকার অনেক চাষী উৎসাহিত হয়ে এ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়ছে।

তবে এ অবদান ও উৎসাহ-উদ্দীপনা উপজেলা কৃষি অফিসারের বলে জানিয়েছেন কৃষক আবু হানিফ।

সরেজমিনে গিয়ে কৃষক আবু হানিফ ও অন্যান্য চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের খর্ণিয়া গ্রামের মৃত সুলতান মোড়লের ছেলে আবু হানিফ মোড়ল। তিনি ২০০৩ সালে এইচএসসি পাশ করার পর চাকরির সন্ধানে না ঘুরে বাপ-দাদার আদি পেশা কৃষিকাজে জড়িয়ে পড়েন।

হানিফ জানান, প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে মাত্র ৫০ শতাংশ জমিতে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে পারলে চাকুরীর প্রয়োজন হবে না। এমন আস্থা ও বিশ্বাস মাথায় নিয়ে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত মাত্র ৫০ শতাংশ জমিতে কৃষি কর্মসূচী গ্রহণ করেন তিনি।

ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় এমনটি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও তৎকালিন কৃষি অফিসের সহায়তায় বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষে মাত্র ২/৩ বছরের মধ্যেই ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন তিনি। এরপর ২০১৩ সালে সবজি উৎপাদন, সরবরাহ ও বাজারজাত করনের উপর ফিলিপাইনে উচ্চতর প্রশিক্ষণ, ২০১৪ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার, ২০১৫ সালে সেরা কৃষক হিসেবে এগ্রো এ্যওয়ার্ড ও ২০১৬ সালে শ্রেষ্ঠ সবজি চাষী হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন।

আবু হানিফ জানান, তার ওই ৫০ শতাংশ জমিতে এবছর তিনি কীটনাশক ছাড়াই জৈব সার ব্যবহার করে দেশীয় জাতের লালশাক চাষাবাদ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। মাত্র ২৫ দিনের ব্যবধানে একই জমিতে একাধিকবার লালশাক চাষাবাদ করে আসছেন তিনি। এতে প্রতিবার বীজ, সার ও শ্রমিক বাবদ ৬/৭ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ৩০ হাজার টাকা লালশাক বিক্রি করেছেন। বিশেষ করে বৃষ্টির মৌসুমে জমিটি বীজতলার মত তৈরী করে বীজ বপন করলে কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়না। যে কারণে এক প্রকার বিনা শ্রমেই এ সবজি চাষাবাদ করে ব্যাপক লাভবান হওয়া সম্ভব বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মোসাদ্কে হোসেন বলেন, ‘একজন কৃষক হিসেবে শতভাগ মনোযোগী হয়ে বিভিন্ন সবজি চাষে আবু হানিফ শুধু সফলতা নয়, ব্যাপক সুনামও অর্জন করেছেন। তিনি উপজেলায় একজন মডেল কৃষক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।’

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!