খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে চার নেতা মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত করেন। তারা অত্যন্ত আস্থা ও দক্ষতার সাথে মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিসমাপ্তি ঘটান। তারা একদিকে মুক্তিযুদ্ধ অন্যদিকে বর্হিবিশ্বের সমর্থন আদায়ও ছিলো তাদের অনবদ্য অবদান। তারা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সকল লোভ লালসার উর্ধ্বে থেকে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা পরে চার নেতাকে খুনি মোস্তাক মন্ত্রীত্বের প্রস্তাব দিয়েছিলো কিন্তু তারা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছিলেন।
সিটি মেয়র বলেন, কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমাদের এই মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠিত করতে বাংলাদেশকে শত্রুমুক্ত করতে হবে। মনে রাখতে হবে ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। তারা নানাভাবে দেশকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ওই সকল দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের কঠিনভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, জাতীয় শ্রমিক লীগ খুলনা মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোতালেব হোসেন, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক শফিকুর রহমান পলাশ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এম এ নাসিম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।
মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, মো. আশরাফুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ কামাল, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, মো. শাহজাদা, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, আলী আজগর মিন্টু, অধ্যা. রুনু ইকবাল, তসলিম আহমেদ আশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, কাউন্সিলর মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাষ, এস এম আকিল উদ্দিন, কাউন্সিলর মোজাফফর রশিদী রেজা, কাউন্সিলর শেখ আব্দুর রাজ্জাক, কাউন্সিলর আব্দুস সালাম, কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, কাউন্সিলর শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, কাউন্সিলর ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, কাউন্সিলর মো. আরিফুল ইসলাম মিঠু, মহিলা কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, আমেনা হালিম বেবী, শাহিদা বেগম, মনিরা বেগম, রেকসোনা কালাম লিলি, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, শেখ আবিদ উল্লাহ, শেখ আব্দুল আজিজ, চ ম মজিবুর রহমান, শেখ জাহিদ হোসেন, বীর মুুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, বাবুল সরদার বাদল, মো. নুর ইসলাম, জামিরুল হুদা জহর, এ্যাড. মো. ফারুক হোসেন, মঈনুল ইসলাম নাসির, কাজী এনায়েত আলী আলো, ফেরদৌস হোসেন লাবু, মো. শাহজাহান জমাদ্দার, মো. আযম খান, শেখ মো. রুহুল আমিন, মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, শেখ এশারুল হক, মোতালেব মিয়া, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মো. হালিম সরদার, মো. জাকির হোসেন, মো. ইউসুফ আলী খান, মো. আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. সেলিম মুন্সি, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, মো. সিহাব উদ্দিন, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, শেখ মোহাম্মদ আলী, আইরিন চৌধুরী নীপা, নূরিনা রহমান বিউটি, নুর জাহান রুমি, মীর বরকত আলী, মো. আমির হোসেন, হাফিজুর রহমান হাফিজ, আলী আকবর মাতুব্বর, মো. শাকিল খানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন খুলনা সরকারী আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আ খ ম জাকারিয়া ও হাফেজ আব্দুর রহীম খান।
এর আগে সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতি মাল্যদান করা হয়। দিনব্যাপী কুরআন খানি অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা গেজেট/ টি আই