খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  চাওয়াই নদীতে গোসলে নেমে প্রাণ গেল দুই শিশুর
  গরুবাহী নছিমনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত
  জামালপুরে ধান মাড়াই করতে গিয়ে তাঁতী লীগ নেতার মৃত্যু
  দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

চৌগাছায় অসময়ের বৃষ্টিতে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা

চৌগাছা প্রতিনিধি

অসময়ের বৃষ্টিতে যশোরের চৌগাছার আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন চাষিরা। বরাবরের মতো সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় ব্যাপক হারে ধান চাষ হয়েছে।এ বছর এই উপজেলা জুড়ে ১৭ হাজার ৬শ ৮৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষ করা হয়েছে।

উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার প্রায় সব মাঠেই কম বেশি এই ধান চাষ হয়ে থাকে।চলতি বছর প্রথম থেকেই আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা এবার ভালো ফলনের আশা করেছিলেন। সেই হিসাবে এই উপজেলার ধান চাষিরাও এবার ব্যাপকহারে ধান চাষ করেছেন।তবে অন্য সব বছরের তুলনায় ফলনও হয়েছিল বেশ ভালো।

ইতো মধ্যে মাঠের পর মাঠের ধান কম বেশি কাটতে শুরু করেছেন এই উপজেলার হাজারো কৃষক। বিঘার পর বিঘা কাটা ধান গত কয়েক দিনের পানিতে ভিজে একাকার। ধানের বিচেলী চিন্তা দাব দিয়েছে চাষিরা। এখন ধান কিভাবে রক্ষা করবে সেই চিন্তায় বিভোর চাষিরা।

গত কয়েকদিন ধরে হচ্ছে বৃষ্টিপাত, সেই সাথে বয়ে যাচ্ছে মৃদু হাওয়া। অসময়ের এই বৃষ্টিপাতে মাঠের রোপা আমনের অপূরণীয় ক্ষতি হবে বলে আশংকা করছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর চৌগাছা উপজেলা জুড়ে ১৭ হাজার ৬শ ৮৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে ব্রি-ধান ৮৭, ব্রি-ধান ৭৫, ব্রি-ধান ৭ উল্লেখযোগ্য। মাটির গুনাগুন ভেদে এলাকা বিশেষ বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করেছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলনের আশা ছিল কৃষক ও কৃষি অফিসের।

মঙ্গলবার কিছুটা আবহাওয়া ভালো থাকায় উপজেলার চাঁদপাড়া, সিংহঝুলী, কয়ারপাড়া, বড়খানপুরসহ বেশ কিছু গ্রামের মাঠে যেয়ে দেখা যায়, কৃষকরা আমন ধান কাটতে শুরু করেছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির আগে থেকেই চাষিরা মাঠে বিঘার পর বিঘা ধান কেটে জমিতেই ফেলে রাখেছেন। রোদে শুকানোর পর তা বাড়িতে এনে ঝেড়ে ধান গোলাতে আর বিচেলী গো-খাদ্য হিসেবে বাড়ির আঙিনায় গাদা দিয়ে রাখবেন।

অন্য বছরের মত এ বছরও চাষিরা অনেক আশা বুকে ধারন করে মাঠে আমন ধান চাষ করেন। কৃষকের সেই স্বপ্ন বলাচলে পুরোনের পথে। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির কারনে সেই স্বপ্ন এখন ভঙ্গের পথে। গো-খাদ্য হিসেবে বিচেলী তৈরী যেমন তেমন ধান কি ভাবে বাড়িতে আনবে সেই চিন্তায় গ্রামের পর গ্রামের চাষিরা বিভোর।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সমরেন বিশ্বাস বলেন, বৈরী আবহওয়ার কারনে আমন চাষিরা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন, তবে বৃষ্টি যদি দীর্ঘস্থায়ী না হয় তাহলে ধানের সমস্যা কিছুটা কম হবে। যে সকল জমিতে পানি জমে গেছে, কৃষককে ওই জমির আইল কেটে পানি বের করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

 

খুলনা গেজেট/এএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!