খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  জামালপুরে ধান মাড়াই করতে গিয়ে তাঁতী লীগ নেতার মৃত্যু
  দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
  মানিকগঞ্জের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়িচাপায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত
  গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

খানজাহান আলী থানা এলাকার ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি

শীতের আগমনে বিভিন্ন ধরনের শীতের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছে পঞ্চাশোর্ধ আবুল কালাম ফুলবাড়ীগেট কুয়েট রোড এলাকায় তিনি বিভিন্ন ধরনের পিঠা বিক্রি করছেন। যদিও এখনো শীতের আমেজ তেমন একটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে শীত না পড়লেও ধুম পড়েছে ফুটপাতে পিঠা বিক্রির। এসব দোকানগুলোতে ভিড় করছেন পিঠা প্রেমীরা। সিরিয়াল দিয়ে পিঠা খাচ্ছেন স্থানীয় মানুষজন। আবার অনেককেই এসব দোকান থেকে পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য বাসায় পিঠা নিয়ে যেতেও দেখা যায়।

খানজাহান আলী থানা এলাকার বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সড়কের পাশের ফুটপাত গুলোয় সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চলে পিঠা বিক্রি। এসব দোকানে বিক্রি হচ্ছে চিতই ও ভাপা পিঠা। পিঠা কেনার জন্য রীতিমত সিরিয়ালে দাড়াতে হচ্ছে ক্রেতাদের। চিতই পিঠার সঙ্গে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া হয় সরিষা বাটা, ধনিয়া পাতা বাটা, রাই বাট, মাংস কিংবা ভুঁড়ি ভুনা। প্রতিটি চিতই পিঠা ৫ ও ভাপা পিঠা ১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে এই দোকানগুলোতে।

পিঠা কিনতে আসা মোঃ ইজাজুল জানান, ‘শীতের সময় পিঠার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। গরম গরম চিতই পিঠার সঙ্গে বিভিন্ন মসলা মুখে পানি এনে দেয়। ব্যস্ত জীবনে বাসায় পিঠা বানানোর সময় না থাকায় তাই দোকান থেকে বাসায় পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছি।

আরেক ক্রেতা নিমাই চন্দ্র বলেন, ‘শীত আর পিঠা কেমন যেন একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। ছোট বেলায় মা পিঠা বানিয়ে দিতো আর সন্ধ্যার সময় স্কুল থেকে পাওয়া নতুন বই নিয়ে পড়তে পড়তে পিঠা খেতাম। সেগুলো স্মৃতি হলেও শীত আসলে পিঠা খেতেই হবে। তাই দোকানে আসা পিঠা খাওয়ার জন্য।’

বন্ধুদের সঙ্গে পিঠা খেতে আসা কাওসার বলেন, ‘শীত আসলে প্রায়দিন সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে পিঠা খেতে চলে আসি। এটা একটা আলাদা আনন্দ।’

পিঠা বিক্রেতা শিরোমনি এলাকার সালেহা বলেন, ‘চালের গুঁড়া দিয়ে চিতই ও ভাপা পিঠা বানাই।চিতই পিঠার সাথে শুটকি ভর্তা,সরষে ভর্তা দেয়া হয়।তা ছাড়া মুরগি ও হাসের ডিম দিয়েও পিঠা বানানো হয়। পিঠার মান ভালো হওয়ায় সিরিয়াল দিয়ে সবাই পিঠা খায়। সন্ধ্যা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করি আমি।’




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!