খুলনার কয়রা উপজেলায় কৃষি দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষক বাড়ির আঙিনায় দেড় শতক জমিতে শাকসবজি ও ফলদী গাছ রোপনের মাধ্যমে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে কিছুটা স্বাবলম্বী হতে পারবে বলে আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে মৌসুম ভিত্তিক খরিপ-১ খরিপ-২, রবি খরিপ-১ তিনটি ধাপে ২৭ টি কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে বছরব্যাপি সার ও সবজির বীজ সরবরাহ করবেন। ইতিমধ্যে পুঁইশাক, গিমা কলমি, লালশাক, বেগুন,মূলা, বরবটি, ঝিংগা, পালংশাক, লাউ, শিম, মিষ্টি কুমড়া, করলা, ধনিয়া সহ ফলদ বৃক্ষ মাল্টা, পেয়ারা, কদবেল ও চুইঝাল সরাবরাহ করেছেন। প্রতিটা কৃষকের মাঝে কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ ও সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
কৃষক কৃষক রাজ কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বাড়ির আঙিনায় বিষ মুক্ত সবজি চাষ করে নিজের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটাতে পারবো বলে আশা করছি। ফলন ভালো হয়েছে। সামান্য কিছু উঠিয়েছি। এখনও সব ফসল তোলার উপযুক্ত হয়নি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাফজুর রহমান বলেন, দেড় শতক জমিতে সাতটা বেড ও মাচা তৈরি করে বিভিন্ন জাতের বিষ মুক্ত সবজি চাষ করে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারে দেশিয় সবজির চাহিদা মেটাতে পারবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, অনাবাদি পতিতজমি ও বসত বাড়ির আঙিনায় বিষ মুক্ত সবজি চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারে বিষ মুক্ত সবজি বিক্রি করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে বলে বিশ্বাস।