খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ মে, ২০২৪

Breaking News

  কাল থেকে দেশের সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সুন্দরবনের গহিনে জ্বলছে আগুন
  দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৬১ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
  মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

কয়রার ট্রিপল মার্ডা‌রের ক্লু উদঘাটন হয়‌নি এক মা‌সেও

নিতিশ সানা, কয়রা

খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালি ইউনিয়নের বাবা-মা ও মেয়ে নৃশংস হত্যাকান্ডের ১ মাসেও কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি কয়রা থানা পুলিশ। দায়ের হওয়া মামলায় ৩ জনকে আটক করে তিনদিনের রিমান্ড শেষেও কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য মেলিনি। তবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি সূত্র ধরে ঘটনার ক্লু উদ্ধারে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি পুলিশের। সেই সাথে পুলিশের একটি স্পেশালাইজড টিমও কাজ করছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নিহত পরিবারের সাথে পূর্ব শত্রুতা থাকায় ঘটনার দিন ৬ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যা মামলায় বামিয়া গ্রামের মৃত কওছার গাজীর পুত্র জিয়াউর রহমান জিয়া (৪১), কুদ্দুস গাজীর স্ত্রী সুলতানা (৩৮) ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ভাগবা গ্রামের মৃত্যু মোকছেদ আলী সরদারের পুত্র আঃ খালেক (৬৫) আটক দেখিয়ে ৩ জনকে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে বিজ্ঞ বিচারক শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে রিমান্ডে তেমন কোন তথ্য পায়নি পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, লাশ উদ্ধারের দিন থেকে একই গ্রামের মৃত মজিদ গাজীর ছেলে আব্দুর রশিদ গাজী নিখোঁজ রয়েছেন। এলাকায় সর্বশেষ ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে তাকে দেখা যায়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।

আরও জানা যায়, হাবিবুল্লাহ গাজী তক্ষক সাপ ও পিনের ব্যবসায় জড়িত ছিল। তাদের ধারণা, তক্ষক ও পিন ব্যবসায়িদের সাথে লেনদেন নিয়ে ঝামেলায় এই হত্যাকান্ড হতে পারে। তবে এটা নিশ্চিত কোন তথ্য নয়।

নিহত হাবিবুল্লাহ গাজীর মা কোহিনুর খানম তার পুত্রবধু ও নাতনীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আসাদুল ইসলাম খুলনা গেজেটকে বলেন, কিছু তথ্য পাচ্ছি, বিশ্লেষণ চলছে। আমরা প্রযুক্তিগত তদন্ত, মাঠ পর্যায়ের তদন্তসহ বিভিন্ন দিক দিয়ে ক্লু উদঘাটনের চেষ্টা করছি। পুলিশের স্পেশালাইজড টিমও কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, রিমান্ডে আটকৃতদের কাছ থেকে নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আমরা আশাবাদি হত্যাকান্ডের ক্লু অতি দ্রুত উদঘাটন করতে পারবো।

উল্লেখ্য, কয়রার বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের পাশে বসবাসকারী মৃত আব্দুল মাজেদ গাজীর পুকুরে মঙ্গলবার ( ২৬ অক্টোবর) সকালে লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসি পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। নিহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। সোমবার রাতের কোন এক সময় তাদেরকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ ধারণা করে।

নিহতরা হলেন, বামিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মাজেদ গাজীর পুত্র হাবিবুল্লাহ গাজী (৩৩), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (২৫) ও একমাত্র মেয়ে হাবিবা খাতুন টুনি (১৩)। হাবিবুর পেশায় দিনমজুর, তার স্ত্রী গৃহিনী ও একমাত্র মেয়ে হাবিবা খাতুুন টুনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী। এঘটনায় নিহত হাবিবুল্লাহার মা কহিনুর খানম বাদী হয়ে ২৬ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। কয়রা থানায় মামলা নং ২৪/২১।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!