খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  ময়মনসিংহে বাসের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
  বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকচাপায় নিহত ৩, আহত আরও ২ জন
  গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের পদত্যাগ

কানাডায় পড়তে গিয়ে লাশ হলো কালীগঞ্জের সাকিব

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি

উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য বাংলাদেশ থেকে মেধাবী ছাত্র সামিউজ্জামান সাকিব কানাডার মালিতোবার বিশ্ববিদ্যালয় এ্যান্ড কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই কলেজে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ৪র্থ বর্ষে লেখাপড়া করতেন। অদৃশ্য কারনে তিনি গত ৯ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বিষয়টি তার বন্ধুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। পরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এক শিক্ষক পুলিশকে অবহিত করেন। এরপর কানাডিয়ান পুলিশের তৎপরতায় গত ২৭ জানুয়ারী সাকিবের মরদেহ কলেজের পাশের একটি লেকের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি গত বুধবার রাতে ক্যানাডিয়ান পুলিশ মোবাইলে সাকিবের বাবাকে নিশ্চিত করেছেন বলে নিহতের পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে।

এদিকে মেধাবী সাকিবের এমন খবরে পরিবারের সকলে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এমন অকালে ঝরে যাওয়া সাকিব ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের উল্যা গ্রামের আছাদুজ্জান আছাদের ছোট পুত্র। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে।

নিহতের বাবা আছাদুজ্জামান মোল্যা জানান, কালীগঞ্জের নলডাঙ্গা ভূষন হাইস্কুল থেকে জেএসসি পাশের পর ঢাকার রেসিডিয়ান্সিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজে ভর্তি করেন সাকিবকে। এরপর ওই প্রতিষ্ঠান থেকেই ২০১৪ সালে বিজ্ঞান বিভাগ হতে এস,এসসিতে জিপিএ ৫। ২০১৬ সালে আই,এসসিও জিপিএ ৫ লাভ করে। এরপর আই এল টেস্টে উর্ত্তীর্ণ হয়ে কানাডার মালিতোবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভতি হয় সাকিব। সে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ছিল। কলেজ নিকটবর্তী একটি বাসার রুম ভাড়া নিয়ে থাকতো। আশপাশে কয়েকটি রুমে বাংলাভাষা-ভাষী কিছু ছেলেরা থাকতো। হঠাৎ গত ৯ তারিখ থেকে পরিবারের কারও সাথে মোবাইলে যোগাযোগ ছিল না সাকিবের।

পরবর্তীতে তার বন্ধুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জানানোর নিখোঁজের ১৭ দিন পর ক্যানাডিয়ান পুলিশ বুধবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের নির্জন এক লেকের পাশ থেকে সাকিবের মরদেহ উদ্ধার করে। যা বুধবার রাতেই ক্যানাডিয়ান পুলিশ মোবাইলের মাধ্যমে আমাকে নিশ্চিত করেছেন। মরদেহ এখনও পুলিশ হেফাজতে আছে। মুঠোফোনে আমাকে শুধু এতটুকু বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে হাসিবুজ্জামানকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করিয়েছেন। ভাইয়ার মত সাকিবও বড় ইঞ্জিনিয়ার হবে এমন সখ থেকে তাকে ক্যানাডায় পাঠিয়েলিাম। এখন আমার সব শেষ । বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

 

খুলনা গেজেট / কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!