খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  চাওয়াই নদীতে গোসলে নেমে প্রাণ গেল দুই শিশুর
  গরুবাহী নছিমনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত
  জামালপুরে ধান মাড়াই করতে গিয়ে তাঁতী লীগ নেতার মৃত্যু
  দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

কম্বোডিয়ায় পুলিশ মার্ডার মামলা তদন্ত

এ এম কামরুল ইসলাম

খুব সকালে ঘুম থেকে উঠার আগেই অফিস থেকে ডাক পড়লো। দ্রুত গোসল সেরে পোশাক পরে অফিসে হাজির হলাম। কমান্ডার বললেন, One local police officer has been killed at last night. You have to go there with your team and report the fact as early as possible. Phonomphen headquarters are very much concern about it.

আমি একজন দোভাষী সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হলাম। দোভাষী জানালেন, এই ঘটনার কথা তিনি রাতেই শুনেছেন। গ্রামের ভিতরে একটি পুলিশ ফাঁড়ির কাছে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে যেতে অনেক সময় লাগবে এবং ঐ এলাকায় পলপট বাহিনীর লোকজনের আনাগোনা আছে। এই কথা শুনে কমান্ডার একটু বিচলিত হয়ে বললেন, You can go first to BANBAT (Bangladesh Army Battalion) and take armed guard with you.

আমি ভাবলাম, বাংলাদেশ আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে রিকুইজিশন দিয়ে ও বিভিন্ন ফর্মালিটি মানতে মানতে আমার সময় শেষ হয়ে যাবে। সুতরাং সময়মতো রিপোর্ট দাখিল করবো কিভাবে। তাই আল্লাহর নাম নিয়ে একজন পূরুষ ও একজন মেয়ে দোভাষী সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। রাস্তায় গাড়ি চালাতে চালাতে ঐ এলাকা সম্পর্কে ওদের কাছে ধারণা নিলাম। তারা দুজনেই বললেন, The villagers of that area are very ferocious. They can shoot the people like bird hunting.

দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে হাজির হলাম। মনের মধ্যে আতংক, পেটে ভীষণ ক্ষুধা। তার চেয়ে বড় কথা হলো, ঐ এলাকার কোন বাড়িতে একজনও মানুষ পেলাম না। পুলিশ খুনের ঘটনার পর থেকে বাড়িঘর ছেড়ে সকল মানুষ পালিয়ে গেছে। তবে পূর্বের রাতের খুনের ঘটনাস্থলে তখনও ভিকটিমের রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। আমার ব্যক্তিগত ক্যামেরা দিয়ে সেই রক্তের ছবি তুললাম। সেখানে কোন সাক্ষী বা তদন্তের কোন আলামত না পেয়ে পাশেই অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়িতে গেলাম। পুলিশ ফাঁড়ির লোকজনের কাছে জানতে পারলাম- তাঁরা লাশ নিয়ে সদরে গেছেন এবং আসামীকে সরাসরি জেলে পাঠানো হয়েছে। আসামীর মোটরসাইকেল ও একটি পিস্তল পুলিশ ফাঁড়িতে আটক ছিল। আমি সেগুলোরও ছবি তুললাম। সেখানে সবার মধ্যে শোকের ছায়া দেখে আমারো মন খারাপ হলো।

পুলিশের ভাষ্য থেকে জানতে পারলাম- নিহত পুলিশ সদস্যের বাড়ি ঘটনাস্থলে সাথেই। তিনি ডিউটি শেষে রাতে বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ বাড়ির পাশে গোলাগুলির শব্দ শুনে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখেন একটি লোক মোটরসাইকেলে বসে পিস্তল দিয়ে চারদিকে গুলি ছুড়ছে। পুলিশ সদস্যটি ‘কে কে’ বলে এগিয়ে যেতেই আসামি বলে,
-তুই কে?
পুলিশ বলেন,
-আমি এই এলাকায় কর্মরত পুলিশ।
তখন আসামি বলে,
– আমি তোর বাপ।

তারপর পিস্তলটি তার দিকে তাক করে গুলি ছোড়ে এবং মোটরসাইকেল চালিয়ে পালাতে চেষ্টা করে। গোলাগুলির শব্দে ক্যাম্পের পুলিশরাও ক্যাম্পের সামনে জড় হয়ে ঘটনার কারণ বুঝার চেষ্টা করছিলেন। আসামির মোটরসাইকেল চালানোর মতিগতি দেখে ক্যাম্পের পুলিশের সন্দেহ হয় এবং মোটরসাইকেল থামাতে সক্ষম হয়। তখনো আসামির হাতে পিস্তল ছিল, কিন্তু গুলি শেষ হয়ে গিয়েছিল। অতএব অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে আসামি আটক হয়। আহত ভিকটিমকে হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। বিকাল পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করেও এর বেশি কোন তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হলো না। ওদিকে সন্ধ্যার পর ঐ এলাকায় থাকাও নিরাপদ ছিল না।

অফিসে ফিরে গিয়ে দেখলাম কমান্ডারসহ সকলেই আমার অপেক্ষায় বসে আছেন। আমাকে দেখে সকলেই আসল ঘটনা জানার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়লেন। আমি মৌখিকভাবে আমার সংগৃহীত অসম্পূর্ণ তথ্য জানানোর পর একটি প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরী করে হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হলো এবং সকলে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য আমাকে তৎপর থাকার অনুরোধ করলেন।

পরদিন সকালে অফিসে গিয়েই পূর্বের দোভাষীদের সাথে করে আবার ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হলাম। সকল দোভাষীরা আমার সাথে বাইরে যাওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকতেন। তাই অন্য দুইজন দোভাষী আমার গাড়ির সামনে এসে অধিকারের সুরে বললেন, Sir, we want to go with you. They went with you yesterday and they learned many things from you. So, we also want to know about investigation.

আমি ভীষণ ঝামেলায় পড়লাম। আগের দিন যে দুইজন দোভাষী আমার সাথে গিয়েছিল তারা ঘটনা সম্পর্কে মোটামুটি ওয়াকিবহাল থাকায় আমার কাজে সুবিধা হবে ভেবে পরের দিনেও তাদের দুইজনকে সাথে রাখতে চেয়েছিলাম। অবশ্য এর আগেও ঐ দুইজনকে আমি বেশি বেশি সাথে নিতাম। এসব কারণে অন্য দুইজন মনে মনে অখুশি ছিলেন, তা আমার ধারণার বাইরে ছিল। বিশেষ করে পরবর্তী দুইজনের মধ্যেও একজন ছিলেন মেয়ে। তিনি আগের মেয়েটির তুলনায় ইংরেজিতে দুর্বল। তাই কোন কাজে তাঁকে সাথে নিয়ে আমি তৃপ্তি পেতাম না। অথচ তিনি মনে করতেন, হয়তো আমি আগের মেয়েটিকে অন্য কোন কারণে বেশি বেশি সাথে নিয়ে যাই। মেয়েটির সেই গোপন সন্দেহের কথা আমি কোনদিন জানতে পারতাম না। কিন্তু ঐদিন একজন পূরুষ দোভাষী আমাকে আলাদা ডেকে নিয়ে কানে কানে সব বলে দিয়েছিল।

সকাল সকাল মামলা তদন্তে যাওয়ার মন নিয়ে অফিসে এসে একটা উটকো ঝামেলায় পড়লাম। একবার ভাবলাম, কমান্ডারকে বলে চারজনকেই সাথে নিয়ে যাই। তাই কমান্ডারের কাছে গিয়ে চারজন দোভাষীকে আমার সাথে নেওয়ার প্রস্তাব করলে তিনি বললেন, Yes, I know that everybody likes you. But if you take them all with you, we will stay at office without interpreter. How, we will face the situations if necessary ?

আমিও বিষয়টি বুঝতাম। কিন্তু নতুন মেয়েটি কমান্ডারের সামনে মুখ খুলে বললেন, Sir, I am new here. But I need to know the investigation procedure from Mr. Islam. So, I need his support. Let me go with him.

আমি এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে পূর্বের মেয়েটির পরিবর্তে নতুন মেয়েটি ও আগের দিনের ছেলে দোভাষীকে সাথে নিয়ে রওয়ানা হলাম। আগের দিনের মেয়েটি খানিকটা মুখ গোমড়া করে দাঁড়িয়ে রইলেন। সত্যি কথা বলতে, তাকে রেখে যেতে নিজের অজান্তে আমারও একটু মন খারাপ হলো।

আগের দিন ঘটনাস্থল চিনে আসার কারণে আজ তুলনামূলক কম সময়ের মধ্যে সেখানে পোঁছে গেলাম। প্রথমেই গেলাম ভিকটিমের বাড়িতে। সেখানে সবাই শোকাহত। ইতোমধ্যে ভিকটিমের লাশ দাহ হয়ে গিয়েছিল। কম্বোডিয়ার রীতি অনুযায়ী ভিকটিমের বাড়িতে অনেক লোকসমাগম ছিল। আশেপাশের বাড়ি থেকে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী চাল, ডাল, আলু, মসলা এনে ভিকটিমের বাড়িতে তিন দিন, তিন বেলা রান্না করে সকলকে খাওয়াবে বলে দোভাষী আমাকে বুঝিয়ে দিলেন। এটাই কম্বোডিয়ার রীতি। আমি মামলা তদন্তের ফাঁকে এই রীতিও উপভোগ করলাম। তাদের সমাজে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখে খুব ভাল লাগলো। আমি নিজেও সেই রীতি অনুযায়ী কিছু শরীক হলাম। তাতে উপস্থিত সকলে বেশ খুশি হলেন।

কিন্তু তখনো হত্যার মূল কারণ খুঁজে বের করতে পারিনি। স্থানীয় পুলিশের লোকজনও আমার কাছে মুখ খুলছিল না। তারা আমাকে দেখলেই পরস্পর কানাঘুষা করতে লাগলেন। ফলে আমি বেশ অস্বস্তিবোধ করতে লাগলাম।

এক পর্যায়ে আমার সাথে থাকা পূরুষ দোভাষী আমাকে একটু দূরে সরিয়ে নিয়ে বললেন, Sir, I got some important informations about the killing. We have to go at a house nearby, to know the facts.

আমি তাঁর কথায় আস্থা রেখে একটু দূরে তাঁর দেখানো বাড়িতে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর দোভাষী জানালেন- মূলতঃ ঐ বাড়িতে বেশ কিছু মেয়ে থাকে, যারা দেহ ব্যবসা করে। তারাই সঠিক ঘটনা জানে। সুতরাং ঐ মেয়েদের সাথে কথা বলা জরুরি হয়ে পড়লো। কিন্তু আমাদের যাওয়ার খবর পেয়ে বাড়িওয়ালি সকল মেয়েদের লুকিয়ে ফেলেছিল। আমার দোভাষীর শত অনুরোধেও বাড়িওয়ালি কোন মেয়ের সন্ধান দিলেন না। কিন্তু আমরা অনুমান করলাম, ঐসব মেয়েদেরকে আশেপাশে কোথাও সরিয়ে রেখেছে এবং সেটাই স্বাভাবিক ছিল।

তখন আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। আমি দোভাষীর মাধ্যমে বাড়িওয়ালিকে বললাম, আমরা পরদিন সকাল ১০টায় আবার আসবো। ঘটনার রাতে যেসব মেয়েরা ঐ বাড়িতে ছিল তাদের সবাইকে হাজির রাখতে হবে। আমরা নিশ্চিত করলাম যে, কাউকে কোন ক্ষতি করা হবে না। শুধু তারা সঠিক ঘটনা আমাদের কাছে যেন নির্ভয়ে বলে। বাড়িওয়ালি তাতে সম্মত হলেও আমার সন্দেহ রয়ে গেল। তবু অন্য উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে অফিসে ফিরে গিয়ে মৌখিকভাবে কমান্ডারকে রিপোর্ট করলাম। কমান্ডার বললেন, This is not a simple murder case. The victim is a police person. So, we must have to detect the facts.

আমারও মনে একই রকম দায়িত্ববোধ কাজ করছিল। সুতরাং পরদিন সকালে অফিসে গিয়ে দেখলাম দোভাষীরা আমার সাথে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন। বিশেষ করে আগের দিনের পূরুষ দোভাষীর আগ্রহ বেশি ছিল। কিন্তু আমি তেমন আগ্রহ না দেখিয়ে বললাম, I think, the girls will not be available there. So, it will be in vein. Do your other duties in office.

আমার মনে মনে অন্য প্লান ছিল। আগেরদিন বাড়িওয়ালিকে সকাল দশটার সময় মেয়েদের হাজির রাখতে বলেছিলাম তা দোভাষী জানতেন। দোভাষী ও বাড়িওয়ালি উভয়ই কম্বোডিয়ান বিধায় তাদের মধ্যে গোপন বুঝাপড়া থাকা অস্বাভাবিক ছিল না। তাই তারা ঐ মেয়েদের আবার লুকিয়ে রাখার কৌশল নিলেও নিতে পারে। আমি বার বার কষ্ট করে সেখানে গিয়ে বিফল হয়ে এক সময় হাল ছেড়ে দিতে পারি। এমন চিন্তা তাদের মনে থাকতেও পারতো। তাই দুপুরে খাবার পর দোভাষীদের অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হঠাৎ সেই বাড়ির বেশ দূরে গাড়ি থামিয়ে পায়ে হেটে রওয়ানা হলাম। কারণ গাড়ির শব্দ শুনলে বাড়িওয়ালি আবার মেয়েদের সরিয়ে ফেলতে পারে। দোভাষীরা আমার কান্ড দেখে অবাক হলেন।

আকস্মিকভাবে আমরা ঐ বাড়িতে হাজির হয়ে দেখলাম, ঘটনার রাতের সব মেয়েরা বাড়িতে যার যার রুমে তাদের পেশায় ব্যস্ত। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে খরিদদাররা মাথা নিচু করে যার যার মতো কেটে পড়লো। বাড়িওয়ালি একটু বিব্রত হয়ে মূল ঘটনা যে মেয়েটি পুরাপুরি জানতো তার রুমে আমাদের বসতে দিলো। আমরা মেয়েটিকে অভয় দেওয়ার এক পর্যায়ে সে আমাদের উপর আস্থা রেখে সব সত্য কথা বলে দিলো। কিন্তু তার বর্ণিত ঘটনার সাথে পুলিশ হত্যার তেমন যোগসূত্র পাওয়া গেল না।

তার ভাষ্যমতে, ঘটনার রাতে একজন কম্বোডিয়ান আর্মির ক্যাপ্টেন তার কাছে এসেছিল এবং তার সাথে একটু বেশি সময় অতিবাহিত করেছিল। ঐ ক্যাপ্টেনকে সে ব্যক্তিগতভাবে চেনে। সে মাঝে মাঝে তার কাছে যাতায়াত করতো। ঘটনার রাতে ঐ ক্যাপ্টেন তার ঘরে অবস্থানকালিন বাইরে থেকে অন্য একজন লোক দুইবার তাকে তাড়াতাড়ি বের হওয়ার জন্য তাগিদ দিয়েছিল। বাইরে থেকে যে ব্যক্তি ক্যাপ্টেনকে ডাকাডাকি করেছিল তাকে সে চেনে না। একটু পরে বাইরে গোলাগুলির শব্দ শুনে ক্যাপ্টেন তড়িঘড়ি তার ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরে সে শুনেছিল, একজন পুলিশ গুলিতে মারা গিয়েছে এবং পুলিশের হাতে আসামি ধরা পড়েছে।

মেয়েটির বক্তব্য শুনে আমি বিশ্বাস করলাম এবং কিছুটা ক্লু খুঁজে পেলাম। স্থানীয় পুলিশের লোকেরা এই ঘটনা আগেই জানতেন। কিন্তু আমার কাছে তারা এসব গোপন রেখেছিল। কারণ এই ঘটনার সাথে একজন আর্মি অফিসারের সম্পৃক্ততা ছিল। পুলিশ হত্যার সাথে আর্মির সম্পৃক্ততা বিশেষ স্পর্শকাতর ঘটনা হওয়ায় তারা গোপনীয়তা রক্ষা করছিল এবং জাতিসংঘের লোকজন যাতে মূল ঘটনা জানতে না পারে সেজন্য সতর্ক ছিল। তাই ঘটনার সাথে জড়িত হাতেনাতে গ্রেফতারকৃত আসামির উপর দিয়ে মামলার সকল দায়ভার চাপিয়ে দিয়ে তদন্ত শেষ করার চেষ্টা করছিল। কম্বোডিয়ার পুলিশ নিজস্ব হেফাজতে পনের দিন পর্যন্ত আসামি আটক রাখার আইনত ক্ষমতাপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও ঐ আসামিকে তড়িঘড়ি করে গ্রেপ্তারের সাথে সাথে জেলখানায় পাঠিয়ে দিয়েছিল। অতএব আমার তদন্তে পাওয়া ঐ ক্যাপ্টেন সাহেবের তথ্য প্রমাণ করতে হলে জেলে থাকা আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত জরুরি হয়ে পড়লো। বাংলাদেশের মতো জাতিসংঘ পুলিশের আসামি রিমান্ডে নেওয়ার সুযোগ ছিল না। তাই জেলখানায় গিয়ে হাজতি আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নিয়ম কানুন খুঁজতে লাগলাম।

আনন্দ
বিদেশের মাটিতে পুলিশ হত্যা মামলা তদন্তে গিয়ে প্রাথমিক সাফল্যে মোটামুটি ভাল লাগলো।

স্থানীয় দোভাষীরা আমার সাথে তদন্তে যেতে বেশি বেশি আগ্রহান্বিত ছিল তা বুঝে সামান্য গর্ববোধ হয়েছিল।

সকল গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার দায়িত্ব আমার উপর ন্যাস্ত করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত থাকতেন।

আমার কাজের দক্ষতার জন্য বাংলাদেশিদের উপর উর্ধতন মহলের আস্থা বেড়ে গেল।

বেদনা
আমি জাতিসংঘের পুলিশ হয়ে একজন স্থানীয় পুলিশের হত্যার জন্য তেমন কিছুই করতে পারিনি। চলবে…

লেখক : প্রতিষ্ঠাতা, সোনামুখ পরিবার। (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অব.)

খুলনা গেজেট/ বি এম এস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!