ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মুজাহিদ কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল ও আল কারীম জেনারেল হাসপাতালের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মাওলা মঙ্গলবার (২০ মে) দিনগত রাত প্রায় আড়াইটার দিকে তাঁর নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
খন্দকার গোলাম মাওলার ইন্তেকালে মহানগর সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দীন, সহ-সভাপতি আবু তাহের, হাফেজ আব্দুল লতিফ, সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হোসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেকেটারি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান সৈকত, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক হুমায়ুন কবির, প্রচার ও দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম কাবির, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি এছাহাক ফরিদী, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌস গাজী সুমন, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষারসহ নগর নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ ও মাগফিরাত কামনা করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মাওলা একজন শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ছিলেন। সেই সাথে বাতিল ও আল্লাহদ্রোহী শক্তির মোকাবেলায় অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য সমাজ সেবামূলক অনেক কাজ করে গেছেন। তিঁনি বহুমুখি সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। আল্লাহর জমিনে তাঁর দেওয়া হুকুমত বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে গেছেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, গোলাম মাওলা একজন আপাদমস্তক জেনারেল শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও এমনকি বাংলাদেশ সরকারের ১ম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার পরও আল্লাহ পাক উনার মাধ্যমে যেই মহান কাজ আঞ্জাম দিয়েছেন তা একমাত্র তাঁর খাছ দয়া। তিঁনি সারাদেশে বিস্তৃত একটি সংগঠনের মূল দায়িত্বে ছিলেন। বামুক, ইসলামী আন্দোলন ছাড়া বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোড সহ অনেক দ্বীনি মিশনের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর সকল নেককাজকে কবুল করে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, সহযোদ্ধা, শুভাকাঙ্ক্ষী সকলকে সবর জামিলের তাওফিক দান করুন। আমীন।
খুলনা গেজেট/এমএনএস