ইউরোর এবারের আসরের সবচেয়ে বড় তারকা বোধকরি স্পেনের তারকা লামিনে ইয়ামাল। স্পেনের বিখ্যাত লা মাসিয়া অ্যাকাডেমি থেকে বেড়ে উঠেছেন। জাভি হার্নান্দেজের হাত ধরে মাত্র ১৬ বছর বয়সেই অভিষেক হয়েছে পেশাদার ফুটবলে। এরপর লুইস দে লা ফুয়েন্তের তারুণ্যনির্ভর স্পেন দলে জায়গা হয়েছে পাকা।
পুরো আসরে স্পেনের ৬ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রায় বড় এক অংশ হয়ে আছেন ইয়ামাল। রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছেন। তিন অ্যাসিস্ট আর এক গোলে হয়ত বোঝার সাধ্য নেই, ইয়ামালের গুরুত্ব কতটা বেশি। তবে, স্পেনের এই অদম্য যাত্রায় ইয়ামালের চেয়েও বড় ভূমিকা আছে অন্য এক মিডফিল্ডারের। তিনি দানি ওলমো।
এখন পর্যন্ত এবারের ইউরোতে এই তরুণের গোল ৩টি। হ্যারি কেইন, মিকুইতাদজেদের সঙ্গে গোল্ডেন বুটের রেইসে আছেন। যৌথভাবে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। নামের পাশে আছে ২ অ্যাসিস্ট। সবমিলিয়ে ইউরোতে ৬ ম্যাচ খেলেই অবদান রেখেছেন ৫ গোলে। গড়েছেন স্প্যানিশ ফুটবলের নয়া কীর্তি।
এক ফুটবল আসরে স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোলে অবদানের রেকর্ডে নতুন নাম দানি ওলমো। ৫ গোলে অবদানের ক্ষেত্রে তিনি ভাগ বসিয়েছেন কিংবদন্তি ডেভিড ভিয়ার ২০১০ বিশ্বকাপের রেকর্ডে। দানি ওলমোর এমন দুর্দান্ত ফর্মের জন্যই স্পেন হয়েছে আরও বেশি দুর্বার।
যদিও দানি ওলমোর এবারের ইউরোতে শুরুর একাদশেই থাকার কথা ছিল না। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নেমেছিলেন বদলি হিসেবে। পরের ম্যাচে ইতালির বিপক্ষে মাঠেই ছিলেন না স্পেনের নাম্বার টেন। জার্মানির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে এসেছিলেন ইনজুর্ড পেদ্রির বদলি হিসেবে। আর সেখানেই দেখালেন ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স।
এরপর ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালেও ছিল তার গোল। সবমিলিয়ে নিয়মিত একাদশে না থেকেও ২৬ বছরের এই তারকা আছেন ইউরোর সেরা খেলোয়াড়ের দৌড়ে। টুর্নামেন্টে মিনিটপ্রতি গোল এবং অ্যাসিস্ট অনুপাতেও সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন আরবি লাইপজিগের এই ফরোয়ার্ড। প্রতি ৬৮ মিনিটে একটি করে গোল বা অ্যাসিস্ট করেছেন স্প্যানিশ নাম্বার টেন।
ফাইনালের বিগ ম্যাচে লামিনে ইয়ামাল কিংবা নিকো উইলিয়ামসের পাশাপাশি স্পেনের জন্য বড় অস্ত্র হতে পারেন দানি ওলমো। হয়ে যেতে পারেন আসরের সেরা খেলোয়াড়ও।
খুলনা গেজেট/এএজে