বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বাড়ির বাইরে চার রাউন্ড গুলি চালিয়ে চম্পট দেন দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। তার পর থেকেই হই হই রব বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে। এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে মুম্বাই পুলিশ। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।
তবে কে বা কারা এ ঘটনার পেছনে রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। এর মধ্যে বেলা বাড়তেই এলো হুমকির চিঠি। গোটা ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। তারা শুধু ঘটনার দায় স্বীকারই করেনি, সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে রীতিমতো হুমকি দিয়েছে অভিনেতাকে।
গত বছর থেকেই ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন সালমান খান। লরেন্স বিষ্ণোই এর আগে হুমকি দিয়েছেন সালমানকে প্রাণে মেরে ফেলার। এ মুহূর্তে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই । একটি সামাজিক মাধ্যমের পাতায় হুমকি পোস্ট দিলেন তার ভাই আনমোল বিষ্ণোই।
তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের ওপর হওয়া অত্যাচারের নিষ্পত্তি চাই। যদি তুমি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে চাও, তা-ই সই। আজ যা হয়েছে, তা শুধুই একটা ঝলক ছিল সালমান খান। যাতে তুমি বুঝতে পার, আমরা কত দূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ। এর পর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না… দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দুজনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দুটি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বাকি বেশি কথা বলার লোক আমি নই। জয় শ্রী রাম।’
১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারকাণ্ডে সালমানের নাম জড়িয়েছিল। এর ‘বদলা নিতে’ সালমানকে খুনের হুমকি দেয় লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠী। গত বছর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছিল, জেলবন্দি গ্যাংস্টার বিষ্ণোই যে ১০ জনকে ‘খতম তালিকা’য় রেখেছেন, তাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সালমানের নাম। তার পর থেকেই সালমানকে নানাভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন এই গ্যাংস্টার। এবার প্রায় অভিনেতার বাড়িতে হামলা করার মতো ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেন তারা।
খুলনা গেজেট/এনএম