সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের সার্বজনীন রাধা গোবিন্দ মন্দিরে চুরির হয়েছে। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশের।
এর আগে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত পূজা অর্চনা করে পুরোহিত ও ভক্তরা বাড়ি ফেরার পর সুযোগ বুঝে চোরচক্র মন্দিরের দুটি গেটের তালা কেঁটে মন্দিরের ভেতর প্রবেশ করে। এ সময় তারা মন্দিরে সংরক্ষিত বৃটিশ শাসনামলে স্থপিত রাধা-কৃষ্ণ ও গোপালের দুষ্প্রাপ্য চারটি পিতলের মূর্তি, প্রতিমার দেহের সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার, রৌপ্যলঙ্কার ও দানবাক্সের নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ মন্দির পরিচালনা কমিটির।
স্থানীয় ইউপি সদস্য অসীম ঘোষ জানান, শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত পূজা অর্চনা শেষে বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। সকালে পুরোহিত আঙ্গুরবালা দেবী মন্দিরের ভেতর প্রবেশ করে চুরির বিষয়টি আচ করতে পেরে সকলকে অবহিত করেন। পরে খবর পেয়ে হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ ওবায়দুল্যাহ জানান, মন্দিরের পাশে ভোমরা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী এবাদুর রহমানের বাড়ি। গত তিনদিন ধরে এবাদুর রহমান দম্পতি বিয়ের অনুষ্ঠানে অন্যত্র অবস্থান করায় সম্ভবত তাদের বাড়িটি শূন্য পড়ে আছে এমন তথ্য ছিল চোরচক্রের কাছে। রোববার গভীররাতে চোরচক্র প্রথমে ওই সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীর বাড়িতে প্রবেশ করে আলমারিসহ অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করে। কিন্তু সেখানে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা বা মূল্যবান মালামাল না পেয়ে পরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের তালা ভেঙে দুষ্প্রাপ্য মূর্তি, সোনা ও রুপার গহনা এবং নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। মন্দিরের চুরি যাওয়া মুল্যবান মূর্তি ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার এবং চোরচক্রকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এঘটনায় মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার মিস্ত্রি বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড