জমজমাট লড়াই হলো দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ। ৪ রানের ব্যবধানে সফরকারীদের হারিয়েছে টাইগাররা। আগের ম্যাচে লো স্কোরিংয়ের কারণে উইকেট নিয়ে যে সমালোচনা, তা যেন থামিয়ে দিলো এই ম্যাচ। ব্যাটসম্যান-বোলার সবাই সুবিধা আদায় করল। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। মোস্তাফিজুর রহমানের প্রথম বলে কোল ম্যাককনচি ৩ রান নেন। দ্বিতীয় বলে ১ রান নেন ল্যাথাম। তৃতীয় বলে ম্যাককনচির ডাবলস। চতুর্থ বলে এক রান করতে পারেন তিনি। তাতে শেষ দুই বলে ১৩ রানের অসম্ভব লক্ষ্য পায় কিউইরা। তবে মোস্তাফিজ পঞ্চম বলটি নো দিলে উত্তেজনা ফিরে ম্যাচে, আসে বাউন্ডারিও। তাতে ২ বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৮ রান। ফ্রি হিট থেকে দুটি রান করেন ল্যাথাম। শেষ বলে ছক্কা মারতে পারেননি অধিনায়ক। ৪ রানে জিতে যায় বাংলাদেশ। এ জয়ে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস ভাগ্যে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দুই ওপেনার লিটন দাস এবং নাইম শেখ ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের ব্যাটে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ দল। প্রথম দুই ওভারে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৬ রান নিলেও কলিন ডি গ্রান্ডহোমের হাতে জীবন পান লিটন।
এরপর পাওয়ার প্লে’তে আর পেছনে ফিরে তাকাননি এই ওপেনার। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের দেখে শুনে খেলে ৬ ওভারে এই জুটি স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৩৬ রান। টম ল্যাথাম বোলিংয়ে নিয়মিত পরিবর্তন এনেও বিপদে ফেলতে পারেননি।
রান রেট ৬ এর কাছাকাছি রেখে ৯ ওভারে দলীয় ৫০ রানে পৌছায় বাংলাদেশ। এ নিয়ে ৯ ইনিংস পর ওপেনিং জুটিতে ৫০ রান যোগ করে বাংলাদেশ। সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওপেনাররা ১০২ রানের জুটি গড়েছিলেন।
প্রথম ৯ ওভারে প্রতিপক্ষের বোলারদের বড় কোন সুযোগ না দিলেও ১০ম ওভারের প্রথম বলে রচিন রবীন্দ্রকে ছক্কা হাঁকালেও তৃতীয় বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হন লিটন। ২৯ বলে ৩৩ রান করেন এই ওপেনার। এরপরের বলেই তিনে নামা মুশফিকুর রহিম প্রথম বলেই ফেরেন স্টাম্পিং হয়ে।
টানা দুই উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশকে বিপদমুক্ত করতে ক্রিজে এসে দ্রুত ৭ বলে ১২ রান করলেও কোল ম্যাককনকিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন সাকিব। এরপর ক্রিজে নেমে নাঈমকে ভালো সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ।
পরের ৪ ওভারে দুজন মিলে যোগ করেন ৩১ রান, সঙ্গে দলকে এনে দেন ১০০ রানের পুঁজি। ১৫ ওভারে স্বাগতিকদের রান তখন ৩ উইকেটে ১০৩। তবে ১৬তম ওভারের ৫ম বলে রবিন্দ্রকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৩৯ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন নাইম।
পরের ওভারে এক রানে ফেরেন আফিফ। ১৭ ওভারের সময় ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান। ওভার শেষে ৫ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ১১০। সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ এবং নুরুল। ১৯তম ওভারে এই জুটি যোগ করে ১৩ রান।
২০তম ওভারে এই জুটি আরও যোগ করে ১১ রান। তাতেই ১৪০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। শেষ বলে ক্যাচ আউট হন নুরুল হাসান। ৮ বলে ১৩ রান করেন এই উইকেটরক্ষক, মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ৩২ বলে ৩৭ রানে। রাচীন নেন ৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ- ১৪১/৬ (ওভার ২০) (মাহমুদউল্লাহ ৩৭*, নাইম ৩৯) (রাচীন ৩/২২)
নিউজিল্যান্ড- ১৩৭/৫ (ওভার ২০) (লাথাম ৬৫*, ইয়াং ২২, ম্যাককনি ১৫*, মেহেদি ২/১২, সাকিব ২/২৯)