খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের পদত্যাগ

খুলনার বি‌স্ফোরক মামলায় যে সাজা হ‌তে পা‌রে মামুনুল হ‌কের

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনায় বিস্ফোরক মামলার হাজিরা শেষে সোমবার সকালে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালে সোনাডাঙ্গা থানায় দায়ের করা এ মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ পুনরায় শুরু হবে ১০ অক্টোবর।

বিস্ফোরক আই‌নের এ মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ সঠিক ভাবে মিললে আসামির সর্বোচ্চ মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে। অথবা সর্বনিম্ন ৫ থেকে ১০ বছরের জেলও হতে পারে বলে খুলনা গেজেটকে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. সাইফুল ইসলাম। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী বলেছেন তার উল্টোটা।

সোমবার রাতে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপ‌তি জানান, বর্তমান সরকার জঙ্গী দমনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। জঙ্গী তৎপরতায় কোন ছাড় নেই। ১৯০৮ সনের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন সংশোধিত ২০০২ এর ৩/৪ ধারা উ‌ল্লেখ ক‌রে জানান, স্বাক্ষ্য প্রমাণ সঠিক হলে আসামির সর্বোচ্চ মৃত্যুদন্ড না হলেও যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে। অথবা সর্বনিম্ন ৫ থেকে ১০ বছরের জেলও হতে পারে।

রাষ্ট্রপ‌ক্ষের আইনজীবী কেএম ইকবাল হোসেন জানান, ২০১৩ সালে হাফেজ মাওলানা মামুনুল হকের ইন্দনে পুলিশের ওপর এ বর্বরোচিত হামলা হয়েছিল। এ মামলায় মাওলানা মামুনুল হকসহ অন্যান্যদের যাবজ্জীবন কারাদ‌ন্ডের সাজা হতে পারে। তিনি বলেন, যদি এ মামলায় আসামিদের সাজা না হয় তাহলে অপরাধীরা অপরাধ করতে আরও উৎসাহী হবে। যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হবে।

অপরদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবী মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, আগামী ১০ অক্টোবর স্বাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মামলা। ২০১৩ সালে ওই ঘটনায় তার মক্কেলরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে কি না তা রাষ্ট্র ভাল বলতে পারবে। এর আগে দু’জন স্বাক্ষী আদালতে তাদের স্বাক্ষ্য প্রদান করেছেন। তার মক্কেলরা ন্যায় বিচার পেলে সবাই খালাস পা‌বেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মক্কেল মামুনুল হক ও তার পরিবার ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না। নিয়োজিত আইনজীবীদের তার সাথে কথা বলতে দেয়া হ‌চ্ছে না ব‌লে অ‌ভি‌যোগ ক‌রেন তি‌নি।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!