খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  চাওয়াই নদীতে গোসলে নেমে প্রাণ গেল দুই শিশুর
  গরুবাহী নছিমনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত
  জামালপুরে ধান মাড়াই করতে গিয়ে তাঁতী লীগ নেতার মৃত্যু
  দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

কোরবানির উত্তাপ খুলনার মসলার বাজারে

কামাল মোস্তফা

কোরবানি ঈদ এলেই বাজারে বেড়ে যায় যাবতীয় মসলার দাম। এ যেন এক চিরন্তন রীতি। অতিরিক্ত চাহিদাকে পুঁজি করে পাইকারি ও খুচরা বাজারে এই ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানো হয় ইচ্ছামতো। বরাবরের মতো এবারও সবধরণের পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পাইকারদের বিরুদ্ধে, পাইকাররা অভিযোগ করেন খুচরা ব্যবসায়ীরাই দাম বাড়ায়।

খুলনা মহানগরীরর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত মাসের শেষের দিকে যে পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। ৪৫-৫০ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭৮-১২০ টাকায়, শুকনা মরিচের কেজি ছিল ২০০-২২০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়।

হলুদের দাম গত মাসে ছিল ১৫০-১৭০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০- ২২০ টাকা। জিরার আগের দাম ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এখন ৪০০-৪৫০ টাকা। ১২০ টাকার প্রতি কেজি দেশি আদা এখন ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

ভোজ্যতেলের দাম বরাবরই বেশি। ১৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া বোতলজাত তেল কোরবানিকে সামনে রেখে কোথাও কোথাও ১৬০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। ৪০০ টাকার দারুচিনি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪২০-৪৫০ টাকায়।

এ ছাড়া কালো গোল মরিচ, সাদা গোল মরিচ, পাঁচফোঁড়ন, জায়ফল, লবঙ্গ, তেজপাতা সহ অন্যান্য মসলার দামও ঈদকে সামনে রেখে পূর্বের তুলনায় বেড়েছে।

মুদি বিক্রেতারা বলেন, পাইকারি বাজারে মাসের ব্যবধানে সব ধরনের মসলা পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে বাজারে পণ্যের কোনো রকম সংকট নেই। সরবরাহও স্বাভাবিক। সামনে কোরবানির ঈদ। ক্রেতারা এখন থেকে মসলা কিনতে শুরু করেছেন। এ সুযোগে পাইকাররা দাম বাড়িয়েছে।

সব ধরনের মসলার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে নগরীর গল্লামারীর ইনসান সুপার মার্কেটের মুদি দোকান বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের করার কিছুই নেই। পাইকারিতে দাম বেড়েছে। তাই আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। তবে আমার পূর্বের দামে মসলা কেনা থাকায় সামান্য লাভ রেখেই বিক্রি করছি।

মেসার্স মোড়েলগঞ্জ বাণিজ্য ভান্ডারের পরিচালক আবুল খায়ের বলেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ-রসুনের দাম বাড়েনি। আজও মানভেদে পেঁয়াজ ৩৫-৩৮ টাকা দরে এবং রসুন ৩০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

বড় বাজারের পাইকারি মসলা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাইকারি বাজারে মসলার দাম বাড়েনি। সবকিছু আগের মতো আছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা আমাদের নাম দিয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিলে আমরা কি করতে পারি।

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে মসলা কিনতে আসা সিফাতুল্লাহ বলেন, আমাদের দেশের এক শ্রেণির অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ায়ী ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে বিশেষত রমজান ও কোরবানিতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। করোনাকালে যেখানে মানুষ সংসার চালাতে পারেনা সেখানে এভাবে পণ্যের দাম বাড়ানো চরম অযৌক্তিক।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক শিকদার শাহিন আলম বলেন, বড় বাজারে গতকাল ভোক্তা অধিকারের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালিয়েছি। ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক মূল্যে পণ্য বিক্রির ব্যাপারে বলা হয়েছে।

খুচরা বাজারে মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপরে কি পদক্ষেপ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার দাম নির্ধারণ করে না দিলে আমাদের কিছু করার থাকে না। তাছাড়া হঠাৎ চাহিদার কারণে দাম বেড়েছে। এখানে কিছু করার নেই। চাহিদা কমে গেলে দাম আবার ঠিক হয়ে যাবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!