বরখাস্তের আদেশ উচ্চ আদালত থেকে স্থগিত হওয়ার পরও সাতক্ষীরার পৌর মেয়র আলহাজ¦ তাজকিন আহমেদ চিশতীকে স্বপদে বহাল হতে দেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় মেয়র চিশতী পৌরসভায় গিয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশের কপি পৌরসভার সেক্রেটারীর (সিইও) কাছে দিলে তিনি সেটি নিতে অসম্মতি জানান।
এক পর্যায়ে পৌর মেয়র আলহাজ¦ তাজকিন আহমেদ চিশতী নিচে নেমে পৌরসভা চত্বরে তাৎক্ষনিক সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গেলে এতে বাধা দেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র (প্যানেল মেয়র) কাজী ফিরোজ হাসানসহ কয়েকজন বহিরাগত।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বিত হাইকোর্ট ডিভিশনের দ্বৈত বেঞ্চ এক আদেশে চিশতীর বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন।
এর আগে তিনি ৬ ফেব্রুয়ারি সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছিলেন। সে সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ তার বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা হবার কথা উল্লেখ করেছিলেন। ২৪ জানুয়ারি নাশকতার মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো এবং ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি জামিনে মুক্ত হন।
এ ব্যাপারে তাজকিন আহমেদ চিশতী জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশের কপি পৌরসভার সেক্রেটারীর (সিইও) কাছে পৌছে দেয়ার জন্য তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তবে সেটি নিতে অসম্মতি জানান পৌর সভার সি.ই.ও। এরপর তিনি নিচে আসার পর পৌরসভা চত্বরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গেলে প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান তার সাথে অপেশাদার আচরণ করেন। যা উচ্চ আদালতের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকারের মন্ত্রালয়ের যে নির্দেশনা তা হাইকোর্টের আদেশের পর স্থগিত হয়ে গেছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনিই বর্তমান মেয়র হিসেবে চলমান রয়েছেন বলে দাবি করেন। এ ব্যাপারে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তিনিই ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আদালতের নির্দেশে মেয়র পদ থেকে সরে যাবার কোন সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী পর পর দুইবারের নির্বাচিত পৌর মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বর্তমান মেয়র পদে টানা দুইবারের নির্বাচিত মেয়র তিনি।
খুলনা গেজেট/ এসজেড