দরজায় বাজছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দামামা। জুনের ২ তারিখ থেকে শুরু হবে বৈশ্বিক আসরটি। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসতে যাওয়া এই আয়োজনের জন্য প্রস্তুত ২০টি দেশ। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলও আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নিচ্ছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আগামী ১৬ মে যুক্তরাষ্ট্র যাবে বাংলাদেশ। হিউস্টনে চলবে তিন দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ শেষে টাইগাররা যাবে লডারহিলে, খেলবে আইসিসির দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ।
ডিপিএলের শেষ রাউন্ডের মধ্যেই বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) থেকে নবনিযুক্ত স্ট্রেইন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান ক্যালির অধিনে ক্রিকেটারদের নিয়ে শুরু হওয়ার কথা ফিটনেস টেস্ট। তবে মিরপুরে নয়, সেটি হতে পারে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে। যেসব ক্রিকেটার প্রথম দিনে ফিটনেস টেস্টে অংশ নিতে পারবেন না, তারা পরদিন দেবেন এই টেস্ট। পর্যায়ক্রমে মার্কিন মুলুকে ভিসা করা সব ক্রিকেটারদেরই দিতে হবে ফিটনের পরীক্ষা।
২১ এপ্রিল ঢাকায় পা রাখবেন প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার সঙ্গে আলোচনা করেই নির্বাচকরা চূড়ান্ত করবেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে টাইগার স্কোয়াড। আর সেই দলটাই হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাব্য দল। হাথুরুর গ্রিন সিগন্যালের ওপর নির্ভর করবে ডিপিএলের সুপার লিগের কতটি ম্যাচ খেলবেন টাইগার ক্রিকেটারার।
জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে ২৩ মে থেকে শুরু হতে পারে টাইগারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প। ৩ মে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হয়ে শেষ হবে ১২মে। এর তিন দিন বাদে অর্থাৎ ১৬ মে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে মার্কিন মুলুকে উড়াল দেবে বাংলাদেশ দল। সেখানে থাকবে তিন দিনের একটি বিশেষ ক্যাম্প।
২১ থেকে ২৫ মে হিউস্টনে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেই টাইগাররা চলে যাবেন লডারহিলে, যেখানে খেলবে আইসিসির দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এরপর ফ্লোরিডা থেকে বাংলাদেশ চলে আসবে ডালাসে। যেখানে ৭ জুন নাজমুল হোসেন শান্তরা খেলবেন বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ, যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে শ্রীলঙ্কা। যুক্তরাষ্ট্র পর্ব শেষেই বাংলাদেশের শুরু হবে ক্যারিবীয় দ্বীপেপুঞ্জে ছোটাছুটি।
খুলনা গেজেট/এমএম