খুলনায় স্বামীকে অচেতন করে স্বর্ণের দোকান লুট করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) নগরীর খালিশপুর গৌতম জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গৌতমকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তার জ্ঞান ফিরলেও ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না তিনি।
তবে স্থানীয়রা জানায়, দোকানের এতোগুলো চাবি এবং সিন্ধুক কিভাবে খুলে নিয়ে গেল, কেউ দেখলো না। ঘটনাটি রহস্যজনক।
খালিশপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শুনেছি স্ত্রী তার স্বামীকে অচেতন করে দোকান থেকে স্বর্ণ নিয়ে চলে গেছে। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালিশপুর গৌতম জুয়েলার্সের মালিক গৌতম বলেন, বনানীর একটি ম্যারেজ মিডিয়ার মাধ্যমে হৃদিকা পাল নামে এক নারীর সম্পর্ক হয়। তাকে বিয়ে করা হয়। বুধবার রাতে খাবারের সাথে কিছু একটা মিশিয়ে আমাকে খাওয়ানো হয়। আমি ঘুমিয়ে পড়ি। পরে সকালে শুনি আমার দোকানে থাকা স্বর্ণালঙ্কার লুট হয়েছে। তার ধারণা তাকে অচেতন করে বৃহস্পতিবার ভোরে তার স্ত্রী চাবি নিয়ে খালিশপুর পিপলস এলাকার জুয়েলার্সের দোকান লুট করে নিয়ে গেছে। প্রায় ১০০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছে।
গৌতম জুয়েলার্সের পাশের দোকানী সাথী জুয়েলার্সের মালিক স্বপন খান বলেন, সকালে দোকান খোলার পর ১১টার দিকে দোকানের সামনে দাড়ালে আরেক দোকানদার বলেন গৌতমের দোকানে একটি তালা লাগানো রয়েছে। অথচ সবসময় একাধিক তালা লাগানো থাকে। সন্দেহ হলে জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, সবকিছু শুনেছে। ধারণা করা হচ্ছে সকালে নিরাপত্তাকর্মীদের দায়িত্ব শেষে চলে যায়, এরপর ভোর ৫টার পর কোন এক সময়ে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
তিনি বলেন, ২ দিন আগে জেনেছি গৌতম আবার বিয়ে করেছে। শুনেছি সেই স্ত্রী ও তার ভাই গৌতমের পূজাখোলার বাড়িতে তাকে খাবারের সাথে কিছু খাইয়ে অচেতন করে। পরে চাবি নিয়ে দোকান লুট করেছে।
গৌতমের বৌ দি অর্চনা মৌলিক জানান, শুনেছি কিছুদিন আগে গৌতম বিয়ে করেছে, সেই স্ত্রী তার দোকান লুট করেছে।
খুলনা গেজেট/কেডি