যশোরে তানভীর নামে এক যুবক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। স্বজনকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে তিনি দুর্ঘটনা কবলিত হন। ঘটনাাটি ঘটেছে শুক্রবার (০৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বেজপাড়া পূজা মন্দির এলাকায়। সেখানকার একটি স্প্রিড ব্রেকার ও রাস্তার পাশে রাখা ড্রেন নির্মাণের বালি কাল হয়েছে তানভীরের। নিহত তানভীর শহরের কারবালা পুকুরপাড় এলাকার এসএম বকুলের ছেলে। এসময় তার সাথে থাকা ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার স্বজন মালিহা গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, তানভীর তার স্বজনকে নিয়ে ওই এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যান। খাওয়া দাওয়া শেষ করে মোটরসাইকেলে তারা দ্রুতগতিতে রেলরোডের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় বেজপাড়া পূজা মন্দিরের পাশের সড়কে থাকা একটি স্প্রিড ব্রেকারে মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে। তারা স্প্রিড ব্রেকার পার হতে পারলেও রাস্তার পাশে বালির স্তুপ দেখে মোটরসাইকেল বাম দিক দিয়ে যেতে গিয়ে নিয়স্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি ভবনের সাথে মারাত্মকভাবে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তানভিরের মাথা ফেটে যায়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় আহত মালিহাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, এলাকার একটি ড্রেনের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সেখালে সড়কের পাশে বালি ফেলে রেখেই ঠিকাদার চলে যায়। ওই বালির জন্য প্রতিনিয়ত ওইস্থানে দুর্ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে পৌরসভাকে একাধিকবার ওই বালি অপসারণের জন্য বলা হলেও তা কানে নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, মৃত্যুর খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়রা তানভীরের দ্রুতগতির মোটরসাইকেল চালানোর সাথে সাথে স্পিড ব্রেকার ও সড়কের ওপর বালি রাখাকে দায়ি করেছেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
খুলনা গেজেট/কেডি