করোনায় আক্রfন্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সমাকে) ও সদর হাসপাতালে তিন নারীসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বেলা পৌনে ৫টা থেকে শুক্রবার (১১জুন) ভোর রাত সাড়ে ৪ টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গোরবদাড়ি গ্রামের রওশন আলীর স্ত্রী মাসুদা বেগম (৫৫), উপসর্গ নিয়ে একই উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের সৈয়দ আলীর স্ত্রী হালিমা খাতুন (৬৪), ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামের মৃত ইছহাক আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম (৬৫) ও কালিগঞ্জ উপজেলার চাতরা গ্রামের সুধির মন্ডলের স্ত্রী ময়না রানী (৬৫)।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে সদর উপজেলা গোরবদাড়ি গ্রামের মাসুদা বেগম গত ৯ জুন রাত ১২টার দিকে সামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১১ জুন) ভোর রাত ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা নানা উপসর্গ নিয়ে ৯ জুন বেলা ১২ টার দিকে সামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন মাগুরা গ্রামের হালিমা খাতুন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বেলা সাড়ে ৪ দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে গত ৯ জুন বেলা ১২ টার দিকে সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন কালিগঞ্জ উপজেলার চাতরা গ্রামের ময়না রানী। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১১ জুন) ভোর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে করোনার একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে সদর উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের আনারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বেলা ১০টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বেলা পৌনে ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
এনিয়ে জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ২৪৪ জন ব্যক্তি। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫১ জন।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কুদরত-ই-খোদা এসব মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃত ব্যক্তিদের মরদেহ দাফনের জন্য বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম