যশোরে করোনা মহামারিতে মানুষের পাশে এগিয়ে এসেছে স্কুলছাত্র শাদমান বিশ্বাস। সাইকেল কেনার জমানো টাকা ভেঙে সে মাস্ক কিনে মানুষের মাঝে বিতরণ করেছে। তার এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছে প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সাধারণ মানুষ।
শহরের কারবালা সড়কের শাহিনুর রহমানের ছেলে শাদমান বিশ্বাস সেক্রেটহার্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তার এখন ঘরে বসেই সময় কাটে। মহামারির এ সময়ে গরিব মানুষের জন্য কাজ করতে সে চিন্তা করতে থাকে। এসময়ে তার মাথায় আসে বাই সাইকেল কেনার জন্য তার জমানো কিছু টাকা রয়েছে। এ টাকা সে গরিবদের জন্য ব্যয় করতে চায়। গত বছরের ঈদে সালামি বাবদ ৪ হাজার টাকা সে জমিয়েছিল সাইকেল কেনার জন্য। এক পর্যায়ে সে সিদ্ধান্ত নেয় জমানো এ টাকায় সে মাস্ক কিনে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করবে। পিতা-মাতার সাথে আলোচনা করলে তারাও এ বিষয়ে তাকে উৎসাহ জোগায়।
বুধবার শাদমান স্বাস্থ্যবিধি মেনে পিতার সাথে বের হয় বাজারে। এসময়ে সে নিজে পছন্দ করে ৪ হাজার টাকার মাস্ক কিনে বিতরণ করতে বেরিয়ে পড়ে। প্রথমে সে এক ব্যাগ মাস্ক প্রদান করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে, এরপর পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন পত্রিকা অফিসের সাংবাদিকদের মাঝে। এছাড়া সে পিতার সাথে বিভিন্ন সড়কে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করে।
স্কুলছাত্র শাদমান জানায়, করোনার কঠিন এ সময়ে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। একইসাথে গরিব মানুষের পাশে দাড়াতে সে সবাইকে আহবান জানায়। সে জানায়, বাই সাইকেল তার নানা কিনে দিয়েছে। এ কারণে সাইকেলের শখ তার পূরণ হয়েছে। জমানো টাকায় মাস্ক কিনে সাধারণ মানুষকে দিতে পেরে সে খুশি।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি