সাংবাদিক হারুন অর রশিদকে (৫৫) বাঁচিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা ব্যর্থ হল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার দুপুর ২টায় নগরীর আদদ্বীন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি কিডনি রোগে ভুগছিলেন।
গত ২ ডিসেম্বর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ১৩ ডিসেম্বর কিডনি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তার স্ত্রী, এক কন্যা ও এক পুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন।
শনিবার বিকেলে সাংবাদিক হারুন অর রশীদের মৃতদেহ তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিশারীঘাটা গ্রামে নেওয়া হয়। সেখানে রাত ১০টায় পশ্চিম বিশারীঘাটা নিজ বাড়ি সংলগ্ন কাঠের পোলস্থ মসজিদ চত্বরে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
সাংবাদিক হারুন অর রশিদ খুলনা প্রেসক্লাব ও মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সাবেক নির্বাহী সদস্য ও দৈনিক জন্মভূমির সিনিয়র রিপোর্টার ছিলেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) হাসান হিমালয় জানান, সিনিয়র সাংবাদিক হারুন অর রশীদের মরদেহ গ্রামের বাড়ি মোরেলগঞ্জে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে।
এদিক সাংবাদিক হারুন-অর-রশীদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক ও সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুলসহ নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ।
অনুরূপভাবে শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এমইউজে ও প্রেসক্লাবের সদস্য হারুন অর রশীদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন ও মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সভাপতি মোঃ আনিসুজ্জামান, সহ-সভাপতি ও বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হিমালয়, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা, নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ নূরুজ্জামান ও সোহরাব হোসেন।
পরিবারের সূত্র জানায়, হারুন অর রশিদ ১৯৬৯ সালের ২ মার্চ বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বিশারিঘাটা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম আবু সাঈদ হাওলাদার ও মাতা মৃত সুফিয়া বেগম। তাদের তিন ছেলের মধ্যে হারুন দ্বিতীয়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। মেয়ে হুমায়রা বিনতে হারুন সরকারি পাইওনিয়ার কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ছেলে সানি সাদমান অয়ন শিশু শ্রেণিতে পড়ে। তার স্ত্রী সেলিমা রশিদ সালমা প্যারালাইজড আক্রান্ত হয়ে গত তিন বছর ধরেই শয্যাশায়ী। তিনি খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নের বেলফুলিয়ার রাজাপুরে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।
খুলনা গেজেট/এনএম/এমএম