বোরো সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও খুলনার রাইস মিল মালিকদের পক্ষ থেকে কোন সাড়া মিলছে না। খাদ্য বিভাগের সাথে চুক্তি করতে তারা সময়ক্ষেপন করছে। দুই শর্ত মানলে সরকারের কাছে চাল বিক্রি করবে ৩২ রাইস মিল মালিক। এ মৌসুমে সাড়ে ১৭ হাজার টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা খাদ্য অফিস।
বোরো মাড়াই প্রায় শেষ পর্যায়ে। হাটে বাজারে চাল উঠতে শুরু করেছে। বাজারে দামের কোন হেরফের হয়নি। জেলার ১০ টি খাদ্য গুদামে ৮ হাজার ৫শ’ মেট্টিক টন চাল মজুদ থাকায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় আছে জেলার খাদ্য কর্মকর্তারা। সরকারের হাতে প্রয়োজনীয় চাল মজুদ না থাকায় এবারের ঈদে ভিজিএফধারীদের নগদ টাকা দেয়া হচ্ছে।
সরকার বোরো মৌসুমে চাল কেনার জন্য প্রতি কেজি ৪০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করেছেন। এ দামে কোথাও চাল কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না। খোলা বাজারে মোটা চাল সর্বনিম্ন ৪৪ টাকা ও মিনিকেট প্রতি কেজি ৬২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুলনার বাজার দখল করেছে ভারতীয় চাল। ক্রমাগত চাল আমদানি হলেও মূল্য স্থিতিশীল নেই।
জেলা রাইসমিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ধানের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া রাতে পিক আওয়ার পদ্ধতি বাতিল করে সাধারণভাবে বিদ্যুৎ বিল নিতে হবে। এ দুই শর্ত মানলে স্থানীয় মিলাররা সরকারের কাছে চাল বিক্রি করবে। গেল মৌসুমে সরকারের কাছে চাল বিক্রি করে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এক কোটি নয় লক্ষ টাকা লোকসান হয়েছে।
জেলা সহকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রক প্রিয় কমল চাকমা জানান, মিল মালিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা শীঘ্রই চুক্তি করবে। এ মৌসুমের সংগ্রহ অভিযান সফল হবে বলে তিনি আশাবাদী। বোরো মাড়াই শেষ হলে চালের দাম কমবে।
মিল মালিকদের সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, যশোর ও সাতক্ষীরা থেকে বোরো ধান আসছে। গত বুধবার প্রতিমণের দাম ছিল প্রকারভেদে ৯২০-৯৩০ টাকা।
খুলনা জেলায় এ মৌসুমে ৬০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে দু’লাখ ৫৭ হাজার মেঃটঃ বোরো ধান উৎপাদন হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি