জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, আজ বাংলাদেশ দেউলিয়াত্বের পথে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে টাকা নেই, কিন্তু মন্ত্রী-এমপি-উপজেলা চেয়ারম্যানদের আত্মীয়-স্বজনদের ব্যাংক জমা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগনের কষ্টে অর্জিত টাকা লুটপাট করে তাদের ব্যাংক ব্যালেন্স বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে।বাংলাদেশের মানুষ আজ ভালো নেই। মানুষ আজ এক বেলা খায়, বড় জোর দুই বেলা খায়। না খেয়ে বহু মানুষ রাত্রিযাপন করছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্যদিয়ে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে দুই লক্ষ মা- বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে কি আজকের এই বাংলাদেশ আমরা চেয়েছিলাম? এভাবেই চলতে পারে না। বাংলাদেশকে আজ হায়েনার মতো করে, শকুনের মতো করে বাংলাদেশের মানচিত্র আজ খেয়ে ফেলতে চায়। আমরা ক্ষমতার জন্য আন্দোলন করছি না, আমরা বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্যে আন্দোলন করছি। তাই লুটেরা আওয়ামী সরকার পতন আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষকে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ডাকে রাজপথে নামার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
খুলনা মহানগর যুবদলের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে যুবদলের এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা মহানগর যুবদলের সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর এ বিশাল কর্মীসভা সঞ্চালনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদৃতি দিয়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি টুকু বলেন, “বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকতে যদি পাশ্ববর্তী দেশের সহযোগিতা কামনা করা হয়, তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কি আছে? অথচ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন বাংলাদেশের বাইরে আমাদের বন্ধু থাকতে পারে; তবে কারো প্রভুত্ব আমরা মেনে নিবো না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা বিকিয়ে দিতে চায় আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের সৈনিকের তাদের প্রতিহত করতে প্রস্তুত আছি।
আওয়ামী সরকার পতন আন্দোলন খুলনা থেকেই শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না। সম্মানিত অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল ও নগর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ শফিকুল আলম তুহিন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান ও সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম নয়ন।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা যুবদলের সভাপতি এসএম শামীম কবির ও সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ।
শুরুতেই কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন নগর যুবদলের দপ্তর সম্পাদক খান ইমরান আহমেদ। তার পূর্বেই বর্ণিল বেলুন উড়িয়ে কর্মীসভার উদ্বোধন ঘোষণা করেন নেতৃবৃন্দ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন নগর যুবদলের নেহিবুল হাসান নেহিম, সাইফুল ইসলাম সান্টু ও আব্দুল আজিজ সুমন প্রমুখ।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া যুবদলের সভাপতি মোঃ আলামিন, ঝিনাইদহের সভাপতি মোঃ আহসান হাবিব রনক ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, সাতক্ষীরা জেলা যুবদলের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান মুকুল, নড়াইলের সভাপতি মোঃ মশিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সায়দাত কবির রুবেল, যশোরের সভাপতি এম তমাল আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনসারুল হক রানা, মাগুরার সভাপতি এ্যাড. ওয়াসিকুর রহমান কল্লোল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ, বাগেরহাটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুজন আহম্মেদ, যুবদল নেতা জাভেদ হাসান স্বাধীন, কামাল আনোয়ার আহম্মেদ, এম কামরুজ্জামান, মিয়া মোঃ রাশেদ, শফিকুল ইসলাম, আমান উল্লাহ বিপুল, মোঃ আইয়ুব আলী, আশরাফুল কবির সুমন, আশরাফুল ইসলাম পিন্টু ও সুমন দেওয়ান প্রমুখ।