খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১২ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯১৫
  ময়মনসিংহে ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের মৃত্যু
  এমন রাষ্ট্র গঠন করতে চাই যা নিয়ে দুনিয়ার সামনে গর্ব করা যায়, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
  আজ মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা-বিপণনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

শ্বাশুড়ির সাথে মনমালিন্য, রূপসা ব্রীজ থেকে লাফ দিলেন পুত্রবধু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রূপসা ব্রীজ থেকে নদীতে লাফ দিয়ে মিম আক্তার (১৭) নামে এক গৃহবধু নিখোঁজ হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ওই গৃহবধু ব্রীজ থেকে লাফ দেন। ঘটনার দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নগরের লবনচরা মোল্লাপাড়া এলাকার ড্রাইভার গলির বাসিন্দা জালাল ফকিরের মেয়ে মিম ও জাফর ফকিরের ছেলে আলী আকবর ফকিরের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাইবোন। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে ৪ মাস আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।

মিমের শ্বশুর জাফর বলেন, দুপুরে খাওদা শেষ করে শ্বাশুড়ী ও বৌ একত্রে ঘুমিয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় ছেলে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে এসে মিমকে ঘরে দেখে গোসল করতে যায়। পরে আর তাকে দেখেনি। এর কিছুক্ষণ পরে লোকমুখে জানতে পারেন মিম রূপসা ব্রীজের দিকে রওনা হয়েছে। তারা সাথে সাথে ব্রীজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু এর মধ্যে তাদের সেখানে পৌছাতে দেরী হয়। সেতু কাছে গিয়ে তারা জানতে পারে মিম সেখান থেকে নদীতে লাফ দিয়েছে। তার খোঁজে কোষ্টগার্ড, নৌ পুলিশ, ডুবরী দল ও পুলিশ ট্রলারযোগে বিভিন্নস্থানে খোঁজ নেয়। রাত সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত নদীতে খোঁজ নেওয়া হয়। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি।

রূপসা নৌ ফাড়ির অফিসার ইনচার্জ মুন্নাফ হোসেন বলেন, রাতে শ্বাশুড়ী ও বৌ এর সাথে চুল আঁচড়ানোকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মিম রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে রূপসা সেতুতে উঠে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরপর থেকে তার সন্ধান কোথাও পাওয়া যায়নি।

লবনচরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: এনামুল হক বলেন, সংবাদ পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। স্থানীয় ডুবরী দল নদীতে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সংবাদ শুনে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও কোষ্টগার্ড পুলিশ এসে নদীতে গৃহবধুর সন্ধান করতে থাকে। রাতে তার খোঁজ মেলেনি। সকালেও তার খোঁজ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি। পরিবার থেকে থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!