খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১২ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  আজ মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা-বিপণনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
  ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ, ১২ বগি লাইনচ্যুত

শেষ মুহুর্তে জমজমাট জোড়াগেট পশুর হাট

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে খুলনা জোড়াগেট পশুর হাট। পুরোদমে চলছে গরু-ছাগল কেনাবেচা। কোরবানির পশু কিনতে হাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ক্রেতারা। শুরুর দিকে চড়া দাম থাকলেও শেষ দিনে তা কমতে শুরু করেছে। চাহিদা মতো দাম না পাওয়ায় গরু বিক্রি করছেন না অনেক বিক্রেতা।

শনিবার সপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সমাগম হয়ে ওঠে খুলনা জোড়াগেট পশুর হাঠ। রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত হাটে পশু বিক্রি বেশ ভালই ছিল। এরপর থেকে ক্রেতারা পশুর দাম ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা কমিয়ে বলতে থাকে। ফলে চিন্তিত হয়ে পড়ে বিক্রেতারা। রাত ১০ টার দিকে অনেক বিক্রেতা কোরবানির পশুকে গাড়িতে উঠিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করেন।

নগরীর হরিণটান রিয়া বাজার এলাকার ব্যবসায়ী বাবু বলেন, বিকেলে চারটি গরু নিয়ে হাটে আসেন। ৯ টার মধ্যে তার ২ টি গরু বিক্রি হয়ে যায়। রাত সাড়ে ৯ টার পর থেকে পশুর দামের পতন ঘটে। নির্ধারিত দাম থেকে ক্রেতারা অনেক দাম কম বলতে থাকে। উপায় না পেয়ে একটি মিনি পিকআপযোগে একটি গরু বাসায় ফিরিয়ে নিয়ে যান। অপর একটি মাঠে রেখে দেন।

ব্যাপারী গোলাম রসুল বলেন, ৩ দিন আগে সাতক্ষীরা সদর লাফসা ইউনিয়ন থেকে ১৮ টি গরু নিয়ে হাটে আসেন। এরমধ্যে ১০ টি গরু বিক্রি হয়েছে তার। আগেরগুলো চড়া দামে বিক্রি করলেও ৮ টি গরু নিয়ে বেশ চিন্তিত আছেন তিনি। হাট না ভাঙ্গলে গরু নিয়ে সেখান থেকে বের হওয়ার কোন নিয়ম নেই বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যার দিকে বের হতে পারলে অন্য জেলার হাটগুলো ধরা যেত। কিন্তু বের হতে না পেরে তিনি বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

নিরালা থেকে ৩ টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন বেলাল নামে এক ব্যাপারী। প্রতিটি গরুর দাম তিনি ৫৫ হাজার টাকায় নির্ধারণ করেছেন। কিন্তু ক্রেতারা তা ৩৫ হাজার টাকা বলছেন। ৫০ হাজার টাকা হলে তিনি ছাড়াবেন বলে জানিয়েছেন।

কেশবপুর উপজেলার ব্যবসায়ী বাবলু জামান বলেন, সকালে ৪ টা গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। ৩ টি বিক্রি হয়েছে। বাকী ১ টা সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতারা ১ লাখ ৫ হাজার টাকা দর করেছিল। কিন্তু অতিরিক্ত লাভের আসায় রাত পৌনে ১১ টার দিকে পশুকে ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে।

নগরীর আহসান আহমেদ রোডের বাসিন্দা মো: গোলাম হোসেন বলেন, গত দু’দিন কোরবানির পশু কিনতে এ হাট সে হাট ঘুরতে হয়েছে। শুক্রবার রাতে তিনি জোড়াগেট পশুর হাটে গরু কিনতে এসেছেন। কিন্তু দাম অধিক থাকায় তিনি পশু কিনতে পারেননি। রাতে হাটে পশুর দাম পড়তে শুনে তিনি ৬৫ হাজার টাকায় গরু কিনেছেন।

হরিণটানা রিয়া বাজার এলাকার মো: আষাঢ় বলেন, ৩ দিন হাটে ঘুরেছি পশু কেনার জন্য। আজ হাটে পশু কিনতে এসে দেখি দর পতন হয়েছে। শুক্রবার যে গরু তার কাছে বিক্রেতা ৮০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন সেটি তা ৬০ হাজার টাকায় ক্রয় করেছেন। পশুর দাম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

এদিকে হাসিল ঘরের হিসাব অনুযায়ী শুরু থেকে শনিবার রাত ১১ টা পর্যন্ত সর্বমোট ৫ হাজার ৮৯৪ টি পশু বিক্রি হয়েছে। এ পর্যন্ত হাসিল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৪৮ হাজার ৫৩৮ টাকা। আজ সর্বমোট পশু বিক্রির পরিমান ২ হাজার হাজার ৮২১ টি। এরমধ্যে গরু বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৯ ২৫ টি, ছাগল ৮৮১ টি ও অন্যান্য ১৫ টি। শুক্রবার রাত ১২ টা থেকে আজ রাত ১১ টা পর্যন্ত হাসিল আদায়ের পরিমান ৯০ লাখ ২৬ হাজার ২২০ টাকা।

হাট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মো: শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন বলেন, রাতে হাটের সব পশু বিক্রি হয়ে যাবে। ঈদের দিন সকলা ৮ টা পর্যন্ত হাট খোলা রাখা হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!