তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরে গুডলেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বল, হজরতউল্লাহ জাজাই খেলবেন না ছাড়বেন করতে গিয়ে খোঁচা দিলেন। উইকেটের পেছনে বাকি কাজটি করেছেন লিটন দাস। দুই ওভারে দুই ওপেনারকে ফেরালেন তাসকিন। এর আগে নিজের প্রথম ওভারে মুভমেন্টের দেখা পেয়েছেন হাসান মাহমুদ, একটিতে অবশ্য লাইনে গড়বড় করে ওয়াইডও দেন।
তবে প্রথম ম্যাচের মতো আবারও শুরুতেই চাপে আফগানিস্তান, চারে এসেছেন মোহাম্মদ নবি—প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের অন্যতম ত্রাণকর্তা।
এর আগে তাসকিনের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলেছিলেন গুরবাজ। চেয়েছিলেন সামনে খেলতে, বল গেছে থার্ডম্যানের ওপর দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে। সে শটেই ফুটে ওঠে গুরবাজের মানসিকতা। ঠিক পরের বলে শর্ট লেংথ থেকে আবার তুলে মেরেছিলেন গুরবাজ, এবার বল ওঠে খাড়া ওপরে। অফ সাইড থেকে আরও তিন জন ফিল্ডার ছুটে আসতে চাইলেও তাসকিন না করে দিয়েছেন, নিজের বলে নিজেই ধরেছেন ক্যাচ। তাসকিন লেংথ কমিয়ে আনেন, গুরবাজ অবশ্য সেটির ওপর চড়াও হতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনলেন। ৫ বলে ৮ রান করে ফিরলেন গুরবাজ, প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দিলেন তাসকিন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১৬ রান।
এর আগে রোববার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচেও টস জিতেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিলেটে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ২ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। এবার স্বাগতিকদের সামনে আফগানদের বিপক্ষে প্রথম টি-২০ সিরিজ জয়ের সুযোগ।
চোটের কারণে খেলতে পারছেন না রনি তালুকদার। তার পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন আফিফ হোসেন। আর রোটেশন পদ্ধতির অংশ হিসেবে বিশ্রাম পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। তার বদলি হিসেবে একাদশে ফিরেছেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ।
এর আগে প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় শেষ হাসিটা বাংলাদেশেরই ছিল। তাই সিরিজে এগিয়ে থেকে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিততে পারলে শিরোপা ঘরে তুলবে স্বাগতিকরা। অন্যদিকে সফরকারীরা এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারলে অন্তত সিরিজ ড্র করে বাড়ি ফিরতে পারবে।
বাংলাদেশ একাদশ-
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস (উইকেটকিপার), আফিফ হোসেন, নাজমুল হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।
আফগানিস্তান একাদশ-
রশিদ খান (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, হজরতউল্লাহ জাজাই, ইব্রাহিম জাদরান, মোহাম্মদ নবি, নজিবুল্লাহ জাদরান, করিম জানাত, মুজিব উর রেহমান, ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, ওয়াফাদার।