শিশু অপহরণের দায়ে খুলনার একটি আদালত স্বামী ও স্ত্রীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন। একইসাথে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল।
সোমবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আঃ ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ রুবেল খান।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হল, নগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকার অহিদের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোমিন সরদার ও তার স্ত্রী রেখা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, খানজাহান আলী থানাধীন মধ্যপাড়াস্থ ইবতাদীয় মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল সুর্বনা লুৎফা। সে খানজাহান আলী থানার গিলাতলা গাজীপাড়া এলাকার সাবেক আলী মেম্বরের বাড়ির ভাড়াটিয়া মিনা সুমনের কন্যা।
২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উল্লিখিত আসামিরা সুর্বনাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে খানজাহান আলী থানায় উল্লিখিত দুই জন আসামি সহ মোসাঃ নুরজাহান নুরী বেগমের নাম উল্লেখ করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন মিনা সুমন।
পরবর্তীতে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় রেখার অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ। ঘটনার ৬ দিন পর বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানগড় থেকে পুলিশ রেখাকে আটক করে। পরে পুলিশ রেখার দেখানো স্থান থেকে সুর্বনাকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেখা তাকে বেড়ানোর কথা বলে এখানে নিয়ে আসে বলে পুলিশের কছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। শিশু সুর্বনাকে তারা একটি কক্ষে আটকে রেখেছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খানজাহান আলী থানার এস আই শেখ আঃ রহিম রেখা ও তার স্বামীকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১৯ নভেম্বর আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
খুলনা গেজেট / আ হ আ