কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শার্শা উপজেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে যুবলীগের হামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান জহিরসহ ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
শনিবার দুপুরের পর শার্শা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে যুবলীগের কতিপয় নেতাকর্মী অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করে। এসময় হামলাকারীরা অফিসের চেয়ার-বেঞ্চ ভাংচুর করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এদিকে খবর পেয়ে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ জেলা নেতৃবৃন্দ শার্শা হাসপাতালে আহত নেতাকর্মীদের দেখতে ছুটে আসেন। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সাথে করে যশোর নিয়ে যান।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান জহির জানান, আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলে আমাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করছিলাম। কর্মসূচিতে তৃপ্তি ভাইসহ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিল। অতর্কিত ১০/১৫ জনের একদল যুবলীগ নেতাকর্মী লাঠি, রড, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমাকেসহ আমাদের নেতৃবৃন্দকে এলোপাথারি মারপিটে আহত করে চলে যায়। পরে আমাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহেদুজ্জামান জানান, আমাদের দলের কোন নেতাকর্মী এ হামলার সাথে জড়িত নেই। নিজেদের দলীয় কোন্দলে তারাই হামলার শিকার হয়েছেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেননি।
খুলনা গেজেট/কেডি