শেখ কামালকে এ দেশের তরুণ সমাজের জন্য ‘রোল মডেল’ হিসেবে বর্ণনা করে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, “এই জন্মদিনের আনন্দ হারিয়ে গেছে পঁচাত্তরের রক্তাক্ত বিদায়ের মধ্যে। আমি মনে করি, বহুমাত্রিক প্রতিভা, বহুমাত্রিক মেধা বাংলাদেশের তরুণ সমাজের শহীদ শেখ কামালের কাছে অনেক কিছু শেখার আছে। ক্রীড়াঙ্গনে, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী, বাংলাদেশের তরুণ সমাজের কাছে তিনিই হতে পারেন রোল মডেল।” তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন। তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী তরুণ সমাজের প্রতি আহŸান জানিয়ে বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ শেখ কামালের জীবন থেকে অনেক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। এখনো আমাদের তরুণ সমাজের কাছে তাঁর জীবন ও কর্মসম্পর্কে অনেক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ বাকী রয়েছে। এই দেশকে কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায় নতুন প্রজন্ম সেদিকে মনোনিবেশ করে নিজেকে গড়ে তোলা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আমরা তাঁকে হারিয়েছি। তিনি যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতেন। আজ ৫ আগস্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও ক্রীড়া সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৪৯ সালের এ দিনে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে মাত্র ২৬ বছর বয়সে তাকেও ঘাতকরা হত্যা করে।
শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার মাগরিববাদ জেলার দলীয় কার্যালয়ে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দোয়া ও বিশেষ প্রর্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ কামালের জীবনের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাষক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশিদ। সঞ্চালনা করেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী।
উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এফ এম মাকসুদুর রহমান, এডভোকেট রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাড ফরিদ আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল,খালেদীন রশিদী সুকর্ণ, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, মোখলেসুর রহমান বাবলু, হালিমা ইসলাম, মোঃ খায়রুল আলম, অসিত বরন বিশ্বাস, শিউলি সারোয়ার, জাহাঙ্গীর হোসেন, ফারজানা নিশা, অমিয় অধিকারী, শাহিনা আক্তার লিপি, আজগার বিশ্বাস তারা, মোহাম্মদ জামিল খান, অধ্যাপক আশরাফুরজামান বাবুল,মানিকুজ্জামান অশোক, নাজনীন নাহার কণা, শেখ মোহাম্মদ আবু হানিফ, অজিত বিশ্বাস, এডভোকেট সেলিনা আক্তার পিয়া, খান সাইফুল ইসলাম, আজিজুর রহমান রাসেল, দেবদুলাল বাড়ই বাপ্পি, মোঃ পারভেজ হাওলাদার, মোঃ ইমরান হোসেন, এ বিএম কামরুল ইসলাম, হারুনুর রশিদ, শিউলি বিশ্বাস, মৃণাল কান্তি বাছাড়,তানভীর রহমান আকাশ, বাঁধন হালদার, চিশতী নাজমুল বাসার সম্রাট,শেখ রাসেল, পলাশ রায়, সাইফুল ইসলাম সাইফ, বিশ্বজিৎ মন্ডল, আরিফ হোসেন খান, রুবেল প্রমুখ।