বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, লাগামহীন দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের কাছে ঈদ স্বস্তিদায়ক ছিল না। বাজার সিন্ডিকেটসহ সরকার সংশ্লিষ্ট অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়িরা এ জন্য দায়ী হলেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অপশক্তির হাত থেকে দেশ, জাতিকে বাঁচাতে হলে তাবেদার সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দেশ গণতন্ত্রের নামে একদলীয় বাকশালী শাসন চলছে। সরকার নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দলীয়করণ করা হয়েছে দেশের বিচারবিভাগ, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রের সকল অঙ্গপ্রতিষ্ঠানকে। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি দীর্ঘ ১৭ বছর রাজপথে লড়াই করছে। আগামীতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে চলমান সরকার হটাও আন্দোলন বেগবান করতে হবে। কাক্সিক্ষত পরিবর্তন ও দেশ এবং জাতিকে মুক্ত করতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আধিপত্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্রের কবল থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। বর্তমান সরকার পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। জনগণের অধিকার-ন্যায়বিচার ও মর্যাদা বর্তমান শাসক শ্রেণীর কাছে সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত হয়ে আছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে ঈদ পরবর্তী মহানগর ও জেলা বিএনপি ও অঙ্গ দলের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। সরকার গণতন্ত্রের কথা বলে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এই আগ্রাসী শক্তি ও আধিপত্যবাদী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। বর্তমান সরকার যখনই দেশের ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে, ব্যাংক লুট হয়, সকল অন্যায় বেড়ে যায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা হয়ে পড়ে, সীমান্তে হত্যা বেড়ে যায়, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে। সভা থেকে অবিলম্বে রূপসায় অগ্নিকান্ডে সালাম জুট মিলের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপুরণ দেয়ার দাবি জানান। সভা থেকে প্রয়াত বিএনপি নেতাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, খান জুলফিকার আলী জুলু, বেগম রেহেনা ঈসা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, মো. রকিব মল্লিক, মোস্তফাউল বারী লাভলু, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, এনামুল হক সজল, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, কে এম হুমায়ূন কবীর (ভিপি হুমায়ুন), মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, চৌধুরী কাওসার আলী, রুবায়েত হোসেন বাবু, কাজী মিজানুর রহমান, জহর মীর, নাজির উদ্দিন নান্নু, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, গাজী আফসার উদ্দিন, আনসার আলী, আলমগীর হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, যুবদলের এবাদুল হক রুবায়েদ, কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম, কাজি আব্দুল জলিল, আজাদ আমিন, শ্রমিকদলের উজ্বল কুমার সাহা, খান ইসমাইল হোসেন, ছাত্রদলের, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, তাঁতীদলের মাহমুদ আলম লোটাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের আতাউর রহমান রনু, মিডিয়া সেলের রকিবুল ইসলাম মতি প্রমূখ।
খুলনা গেজেট/এনএম