লাইসেন্স জালিয়াতির দায়ে যশোরের বাঘারপাড়ার প্রথমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করা হয়েছে। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন জানান, গত ২ মার্চ বাঘারপাড়া উপজেলার বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত প্রথমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার গেলে মালিক পক্ষ একটি লাইসেন্স (ঐঝগ৭০৫৪৬) দেখায়। লাইসেন্সটি ভুয়া সন্দেহ হওয়ায় তা যাচাইয়ের জন্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) দপ্তরে পাঠানো হয়। ৪ মার্চ সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে পত্র দিয়ে নিশ্চিত করা হয় প্রথমা ডায়াগনস্টিকের অনুকূলে কোনো লাইসেন্স ইস্যু করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষ জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া লাইসেন্স তৈরি করেছে। প্রথমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালাসহ প্রতিষ্ঠানটির মালিক এমএ রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
সিভিল সার্জন আরও জানান, প্রথমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। ওই প্রতিষ্ঠানটিতে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন এবং ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী কোনো জনবল নেই। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া লাইসেন্স বের করে ব্যবসা করছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক এমএ রবিউল ইসলাম। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করা হয়। সে মোতাবেক ২২ মার্চ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
প্রথমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করার সময় উপস্থিত ছিলেন বাঘারপাড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা জান্নাত, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শরিফুল ইসলাম, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রেহনেওয়াজ, বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার কৌশিক আশরাফ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মনিরা খাতুন, থানার সাব-ইন্সপেক্টর কাইয়ুম হোসেন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি