লোকাল গভর্ণমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) প্রকল্পের আওতায় জেলা পর্যায়ের ত্রৈমাসিক সভা আজ (সোমবার) সকালে খুলনা সাকিট হাউজ সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএনডিপি’র এসডিজি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এএসএম মাহবুব আলম এবং ইউএনডিপি’র ক্লাইমেট চেঞ্জ স্পেশালিস্ট একেএম মামুনুর রশীদ। সভায় খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এসএম আওয়াল হক এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, লজিক প্রকল্প খুলনা জেলার জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি ইউনিয়নে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর আওতায় দাকোপ উপজেলার পানখালী, তিলডাঙ্গা, কামারখোলা, সুতারখালী. বানিশান্তা ইউনিয়ন এবং কয়রা উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর, কয়রা, উত্তর বেদকাশী ও দক্ষিণ বেদকাশীতে গ্রান্ট প্রদান করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এসব ইউনিয়নের জনগণের সাথে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের জীবিকান্নোয়নে সহযোগিতা করা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে দাকোপ ও কয়রা উপজেলার প্রকল্পভুক্ত ১০টি ইউনিয়নে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মেকাবেলায় দুই কোটি ৪৩ লাখ ২৪ হাজার ৫৬৯ টাকা ব্যয়ে ২৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাইক্লোন সেল্টারে যাতায়াতের জন্য ১৭টি রাস্তা, সুপেয় পানির জন্য পাঁচটি পানির প্লান্ট, দুটি কালভার্ট, একটি হাইড্রোপনিক এবং উন্নত জাতের ভেড়া পালনের জন্য একটি ডেমো প্রকল্প।
এছাড়া ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে দুই কোটি ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪১ টাকা বাজেটে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্ট্রিং সিস্টেম ২৮টি, দুটি আরলি ওয়ার্নিং সিস্টেম, লবন সহিষ্ণু জাতের প্রদর্শনী ও দুটি নার্সারি এবং লবন সহিষ্ণু জাতের প্রশিক্ষণ ও দুটি প্রদর্শনী, একটি ব্রীজসহ মোট ৩৫টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
১০টি ইউনিয়নের ২৫টি ওয়ার্ডের মোট ৩১৪২ টি পরিবারকে ২৯ হাজার ৪৮০ টাকা হিসাবে মোট নয় কোটি ২৬ লাখ ২৬ হাজার ১৬০ টাকা প্রদান করেছে। ভেড়া পালন, তরমুজ চাষ, হাস পালন, মাছ ও সবজি চাষ, দেশি জাতের মুরগি, কাঁকড়া চাষ ও সূর্যমুখী চাষের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে পরিবারগুলোকে এ সহযোগিতা দেয়া হয়।
বিস্তারিত আলোচনায় কয়রা ও দাকোপ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং দুই উপজেলার চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন।তথ্যবিবরণী।
খুলনা গেজেট/কেএম