যশোর সদর উপজেলার ইছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামকে মোবাইলে হুমকি ও এ সংক্রান্ত অডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় যুবলীগ নেতা মাজাহারুল ইসলাম মাজাহারকে শো’কজ করেছে যুবলীগ যশোর জেলা শাখা।
জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুর যৌথ স্বাক্ষরে শো’কজ নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৪ এপ্রিল ইছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে যুবলীগ নেতা মাজাহার অকথ্য ভাষা ব্যবহারের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হয়। যা নিয়ে গোটা যশোরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা যুবলীগের কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা করতে পারেন না। এটা দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘন ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। এ কারণে শুক্রবার তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংগঠনের ২২(ক) অনুচ্ছেদ মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশক্রমে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।
পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে যথাযথ প্রমাণসহ জবাব না দেয়া হলে বা সন্তোষজনক জবাব না দিলে আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ওই গ্রামের মাজাহারুল ইসলাম মাজাহার নিজের মনমতো আহ্বায়ক কমিটির গঠন করে তা অনুমোদনের জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেন। অথচ কমিটির ব্যাপারে হাইকোর্টে একটি রিট হয়েছে। যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। প্রধান শিক্ষক এই বিষয়ে হাইকোর্টের কথা উল্লেখ করা মাত্রই মাজাহারুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইল ফোনে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হত্যার হুমকি দেন। যা পত্রিকায় প্রকাশ এবং ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে যুবলীগ নেতা মাজাহার আত্মগোপনে রয়েছেন। কোথাও তার দেখা মিলছে না। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই