যশোরের প্রায় দেড় লাখ পরিবার পেয়েছে টিসিবির পণ্য। আসন্ন রমজান মাসেও তারা পাবেন ছোলা খেজুরসহ দু’দফা এসব পণ্য। সোমবার যশোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে টিসিবির মাসিক পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কার্ডধারীরা স্বল্পমূল্যে কিনতে পেরেছেন টিসিবির সয়াবিন তেল ও মুসরির ডাল। তবে এবার দেয়া হয়নি চিনি।
আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিম্ন আয়ের এক কোটি কার্ডধারী পরিবার টিসিবির মাধ্যমে ভুর্তুকি মূল্যে কয়েকটি নিত্যপণ্য কিনতে পারবেন। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ডাল, চিনি, সয়াবিন, পেঁয়াজ, ছোলা ও খেজুর। এরমধ্যে ছোলা ও খেজুর শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতে বিতরণ করা হবে। তবে রোজা শুরুর আগে যশোরসহ দেশের সব জেলা, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলবে এবং খেজুরসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি করা হবে বলে টিসিবি সূত্র জানিয়েছে।
যশোর জেলা টিসিবি ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান জানান, জেলার অন্যসব স্থানে কার্ডধারীরা ইতিমধ্যে টিসিবির পণ্য পেয়েছেন। বাকি ছিল যশোর পৌরসভা এলাকা। সোমবার পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে টিসিবির পণ্য বিক্রি শেষ করা হয়েছে। তবে এবার টিসিবিতে চিনির সরবরাহ নেই, এ কারণে চিনি বিক্রি করা যায়নি। একজন কার্ডধারী এদিন কিনতে পেরেছেন দুই লিটার সয়াবিন তেল ও দুই কেজি মসুরির ডাল। তিনি বলেন, এ মাসের টিসিবির বরাদ্দে জেলার এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৩৯ পরিবার পণ্য কিনেছেন। এর মাধ্যমে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ উপকৃত হবেন বলে তিনি জানান।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর টাউনহল ময়দানের আলমগীর সিদ্দিকী হলের পাশে দেখা যায় নারী-পুরুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে টিসিবির পণ্য কিনছেন। দুপুর একটার দিকে শংকরপুরে গোলাম পাটেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায় টিসিবির পণ্য বিক্রি প্রায় শেষ।
এছাড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ড ঘোপ জেল রোড এনএম খান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কার্ডধারীরা লাইনে দাড়িয়ে টিসিবির পণ্য কিনেছেন। তিনি বলেন, এসব স্থানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে টিসিবির পণ্য বিক্রি হয়েছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি কার্ডধারীদের। তারা দ্রুতই পণ্য কিনে বাড়ি ফিরেছেন।
৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোকসিমুল বারী অপু বলেন, তার ওয়ার্ডে টিসিবি’র কার্ডধারীদের পণ্য কিনতে কোন দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। এবারও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে টিসিবির পণ্য বিক্রি হয়েছে। এর মাধ্যমে ওয়ার্ডের নিম্ন আয়ের মানুষেরা উপকৃত হচ্ছেন বলে তিনি জানান।
সূত্র জানায়, রমজানের আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে একবার ও রমজানের শুরুতে ৩১ মার্চের মধ্যে আরেকবার এবং শেষে ১ থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে আরেকবার টিসিবির মাধ্যেমে সারাদেশে পণ্য বিক্রি করবে সরকার। টিসিবি কার্ডধারী প্রতিটি পরিবারের কাছে প্রতি কেজি ডাল ৭০ ও চিনি ৬০ টাকা এবং প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকায় বিক্রি করবে টিসিবি।
খুলনা গেজেট/ এসজেড