যশোরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা ও মাটি চাপা দিয়ে লাশ গোপন করার দায়ে স্বামী মনিরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে যশোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ইদ্রিস আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডিত মনিরুল ইসলামের বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামে।
যশোর আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে বাঘারপাড়া উপজেলার হাবুল্লা গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে তারা বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মনিরুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই মনিরুল তার স্ত্রীকে এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধর করতেন।
এরই এক পর্যায়ে ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর গৃহবধূ তারা বেগমের মুখে গামছা ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর বাড়ির পেছনের বাগানে গোপনে মরদেহ মাটি চাপা দেয়া হয়। ওই বছরের ৮ অক্টোবর নিহতের মা তার মেয়ের সন্ধান করতে জামাই বাড়িতে গিয়ে মরদেহের সন্ধান পান। এসময় গোটা ঘটনা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
পরদিন সকালে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ মাটি খুড়ে তারা বেগমের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের মা সবুরা খাতুন বাঘারপাড়া থানায় মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি এ মামলায় মনিরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর আদালতে মামলার দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার বিচারক মনিরুলের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই