যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শরীফপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে বাবা ও ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জের ধরে ১১ মাসের শিশুকে হত্যা করার পর পাষন্ড বাবা ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে পুলিশ ও গ্রামবাসী জানিয়েছে।
রোববার রাতে উপজেলার শরীফপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূইয়া জানান। মৃত ইমামুল হোসেন (২৮) উপজেলার ওই গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে। ইমামুল ও মমতাজ বেগম দম্পতির ১১ মাসের ছেলের নাম আয়মান হোসেন।
মৃত ইমামুলের মা রহিমা বেগম জানান, দীর্ঘদিন বিদেশে ছিল ইমামুল। সে মমতাজকে বাবার বাড়িতে যেতে দিত না। রোববার বৌমা বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে তারা ঝগড়াঝাটি করে। একপর্যায়ে শিশু আয়মানকে রেখে বৌমা বাবার বাড়ি চলে যায়। দিনের বেলায় আমি বাচ্চাটাকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে কোনো রকম রেখেছিলাম। রাতে শিশুকে নিয়ে ইমামুল ঘুমায়। সকালে উঠে দেখি আমার ছেলের মৃতদেহ রশিতে ঝুলছে। পাশে বিছানায় আমার ছোট্ট আয়মানের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ইমামুল হোসেন ও ছোট্ট শিশু সন্তান আয়মানকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে শিশু সন্তানকে রেখে তার মা বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ায় ইমামুল বাচ্চাটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া মৃত্যুর অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খুলনা গেজেট/এনএম