যশোরে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার নাম শাহারুল ইসলাম (২৬)। তিনি সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের রূপদিয়া গ্রামের ফজর উল্লাহর ছেলে।
মৃতের পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে শ্বশুর বাড়ির লোজনের দাবি সাংসারিক বিরোধের জের ধরে তিনি কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন।
মৃতের ভাই এনামুল হোসেন জানান, বিয়ের পর থেকেই তার ভাই শাহারুল ইসলাম শহরতলীর মুড়লী এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই থাকতেন। শ্বশুর মুকুল হোসেন, শাশুড়ি পলি বেগম ও স্ত্রী বৈশাখী খাতুন বিভিন্ন সময় তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। গত ২ জুলাই সকালে তিনি স্ত্রীর সাথে গোলযোগ করে নিজ বাড়ি রূপদিয়ায় চলে যান। এরপর ওইদিন দুপুরে শাহারুল ইসলাম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনালের হাসপাতালে ভর্তি করলে জানানো হয় তিনি কীটনাশক পান করেছেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় তার মৃত্যু হয়।
মৃতের ভাই এনামুল হোসেনের অভিযোগ, তার ভাইয়ের শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্ত্রী পরিকল্পিতভাবে খাবারের সাথে শাহারুলকে কীটনাশক খাইয়ে দিয়ে হত্যা করেছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে স্ত্রী বৈশাখী খাতুন বলেন, তাদের বাড়ি থেকে কেউ স্বামীকে কীটনাশক দেয়নি। সাংসারিক বিষয়ে কথা কাটাকাটির পর নিজ বাড়ি রূপদিয়ায় গিয়ে কীটনাশক পান করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।